সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেতও দেখিয়ে যেতে বলেছে অধিদপ্তর।
বাংলাদেশে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর উদাযাপিত হবে বুধ বা বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি বাড়লেও পরবর্তী তিনদিন কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
এবার আষাঢ় মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও রাজধানীবাসী গরমে হাসফাঁস করেছে মাঝামাঝি পর্যন্ত; তারপর নগরীতে শুরু হওয়া বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে প্রতিদিনই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু মাঝারি ধরনের সক্রিয় থাকায় দেশের কিছু কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের দিনও এমন বৃষ্টি হতে পারে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সোমবার আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) দেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, “বর্ষা সক্রিয় থাকায় সকাল অথবা বিকালে বৃষ্টি হচ্ছে কয়েকদিন; পরবর্তী ৭২ ঘণ্টাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঈদের দিন হালকা বৃষ্টি থাকতে পারে রাজধানীতে।

“ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী এলাকাসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভারি বর্ষণের শঙ্কা নেই।”
২০ আষাঢ় সোমবার অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “আগামী তিন দিন (বুধবার পর্যন্ত) বৃষ্টিপাতের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। পরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।”
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
গত তিন দিন দেশের সব জায়গায়ই বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় রংপুরে ১০০ মিলিমিটার। এসময় ঢাকায় বৃষ্টি হয় ৩৬ মিলিমিটার।
বন্দরে সতর্কতা
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ফাইল ছবি
লঘুচাপের প্রভাবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দেশের সব বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমি ধসের শঙ্কা রয়েছে।অমাবস্যা আর ভারি বর্ষণের কারণে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।
জুলাই মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহনাজ খান বলেন, এ মাসের স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে দুই-তিনটি মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে; যার মধ্যে দুয়েকটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
এ মাসে বৃষ্টিতে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় স্বাভাবিক বন্যার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
 
Top