সৌদি আরবের পবিত্র মদিনা নগরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় মুসলিম বিশ্বে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
এমনকি তালেবান ও হিজবুল্লাহ জঙ্গিগোষ্ঠী এই হামলায় নিন্দা জানিয়েছে। সৌদি
বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ বলেছেন, তাঁর সরকার হামলাকারীদের কঠোর
হস্তে দমন করবে। গতকাল মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একই সঙ্গে তিনি
উগ্রপন্থার বিপদের বিষয়ে দেশের তরুণদের সতর্ক করে দিয়েছেন।
গত সোমবার ইফতারের সময় পবিত্র মসজিদে নববির কাছে আত্মঘাতী ওই বোমা হামলায় চারজন নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, যদিও এসব হামলার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, তারপরও এগুলোর উদ্দেশ্য হলো ভয় ও বিভক্তির বীজ বপন করা। ঘৃণ্য এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক।
সোমবার মদিনা, জেদ্দা ও কাতিফে চালানো হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে গত মে মাসে ইসলামিক স্টেট তার সমর্থকদের পবিত্র রমজান মাসে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল। রমজান মাসে এই জঙ্গিগোষ্ঠী অরল্যান্ডো, ঢাকা, ইস্তাম্বুল, বাগদাদসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলার দাবি করেছে।
মদিনার হামলায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্বের মুসলমানরা। ইরান এ ঘটনার পর মুসলিমদের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সন্ত্রাসীদের আর কোনো সীমানা পার হতে বাকি নেই। সুন্নি-শিয়া উভয়ই হামলার শিকার হতে থাকবে, যদি না তারা এক হয়।
তালেবানরা এই হামলাকে ‘বর্বর’ বলে উল্লেখ করেছে। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান বলছে, এটি ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ।
মুসলমানদের পবিত্র স্থানে হামলাকে ‘আতঙ্ক ছড়ানো নতুন চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছে লেবাননভিত্তিক শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। যদিও সৌদি আরব এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করে আসছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কুলভিল বলেছেন, এটা ধর্মের ওপর হামলা। সৌদি আরবের প্রধান নীতিনির্ধারণী সংগঠন মজলিশে শুরার প্রধান আবদুল্লাহ আল-শেখ মদিনা হামলাকে নজিরবিহীন মন্তব্য করে বলেছেন, যে ব্যক্তির অন্তরে কণামাত্র বিশ্বাস আছে, তাঁর পক্ষে এই হামলা করা সম্ভব নয়।
মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ মাধওয়াই আল-রশিদ বলেছেন, ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলোর রক্ষক সৌদি আরবকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই হামলা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই ভিজিটিং অধ্যাপক বলেন, এই হামলা সৌদি সরকারকে বিব্রত করার একটি পন্থা।
সোমবারের প্রথম হামলাটি ছিল জেদ্দায়। সেখানে মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে এক আত্মঘাতী হামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলা চালিয়েছে ৩৫ বছর বয়সী পাকিস্তানি আবদুল্লাহ কালজার খান। তিনি ওই শহরে ১২ বছর ধরে বসবাস করছেন। রিয়াদে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ওই হামলায় দূতাবাসের অবশ্য কোনো ক্ষতি হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে সৌদি আরবের শিয়া মুসলমানদের ওপর ধারাবাহিকভাবে বোমা হামলার দায় স্বীকার করে আসছে আইএস। বেশির ভাগ হামলা ছিল দেশটির পূর্বাঞ্চলে, সেখানে দেশটির শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস।
গত সোমবার ইফতারের সময় পবিত্র মসজিদে নববির কাছে আত্মঘাতী ওই বোমা হামলায় চারজন নিহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, যদিও এসব হামলার তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, তারপরও এগুলোর উদ্দেশ্য হলো ভয় ও বিভক্তির বীজ বপন করা। ঘৃণ্য এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক।
সোমবার মদিনা, জেদ্দা ও কাতিফে চালানো হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে গত মে মাসে ইসলামিক স্টেট তার সমর্থকদের পবিত্র রমজান মাসে হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল। রমজান মাসে এই জঙ্গিগোষ্ঠী অরল্যান্ডো, ঢাকা, ইস্তাম্বুল, বাগদাদসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলার দাবি করেছে।
মদিনার হামলায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিশ্বের মুসলমানরা। ইরান এ ঘটনার পর মুসলিমদের প্রতি ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, সন্ত্রাসীদের আর কোনো সীমানা পার হতে বাকি নেই। সুন্নি-শিয়া উভয়ই হামলার শিকার হতে থাকবে, যদি না তারা এক হয়।
তালেবানরা এই হামলাকে ‘বর্বর’ বলে উল্লেখ করেছে। এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান বলছে, এটি ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক ও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ।
মুসলমানদের পবিত্র স্থানে হামলাকে ‘আতঙ্ক ছড়ানো নতুন চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছে লেবাননভিত্তিক শিয়া জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। যদিও সৌদি আরব এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করে আসছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার–বিষয়ক মুখপাত্র রুপার্ট কুলভিল বলেছেন, এটা ধর্মের ওপর হামলা। সৌদি আরবের প্রধান নীতিনির্ধারণী সংগঠন মজলিশে শুরার প্রধান আবদুল্লাহ আল-শেখ মদিনা হামলাকে নজিরবিহীন মন্তব্য করে বলেছেন, যে ব্যক্তির অন্তরে কণামাত্র বিশ্বাস আছে, তাঁর পক্ষে এই হামলা করা সম্ভব নয়।
মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ মাধওয়াই আল-রশিদ বলেছেন, ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলোর রক্ষক সৌদি আরবকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই হামলা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এই ভিজিটিং অধ্যাপক বলেন, এই হামলা সৌদি সরকারকে বিব্রত করার একটি পন্থা।
সোমবারের প্রথম হামলাটি ছিল জেদ্দায়। সেখানে মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে এক আত্মঘাতী হামলায় দুজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলা চালিয়েছে ৩৫ বছর বয়সী পাকিস্তানি আবদুল্লাহ কালজার খান। তিনি ওই শহরে ১২ বছর ধরে বসবাস করছেন। রিয়াদে মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ওই হামলায় দূতাবাসের অবশ্য কোনো ক্ষতি হয়নি। ২০১৪ সাল থেকে সৌদি আরবের শিয়া মুসলমানদের ওপর ধারাবাহিকভাবে বোমা হামলার দায় স্বীকার করে আসছে আইএস। বেশির ভাগ হামলা ছিল দেশটির পূর্বাঞ্চলে, সেখানে দেশটির শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস।