পঙ্গপাল ব্যবহার করে বিস্ফোরক দ্রব্য খুঁজে বের করার একটি পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
এ
প্রকল্পের দায়িত্বে নিয়োজিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি-এর স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং
অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের অধ্যাপক বারানিধারান
রামান জানান, পঙ্গপালের 'রোবটিক নাক' রয়েছে এবং তা ব্যবহার করে বিপজ্জনক রাসায়নিক
পদার্থের গন্ধ চিহ্নিত করা ও মনে রাখায় এদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে।
বিবিসি জানায়, পঙ্গপালের নাসিকানুভূতিনির্ভর এ প্রযুক্তিতে পঙ্গপালগুলোকে তাপ উৎপাদী 'ট্যাটু'-এর সাহায্যে বিপজ্জনক জায়গায় পাঠানো হবে। পরবর্তীতে এদের মস্তিষ্কের নিউরাল সিগনালকে নিম্ন ক্ষমতাশীল অন-বোর্ড প্রসেসিং চিপের মাধ্যমে ডিকোড করা হবে এবং তারবিহীন পদ্ধতিতে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। সাধারণ এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাল রঙের সাহায্যে বিস্ফোরকের উপস্থিতি এবং সবুজ রঙের সাহায্যে অনুপস্থিতি প্রকাশ করা হবে।
অধ্যাপক রামান বলেন, "মাত্র কয়েকশ' মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই পঙ্গপালের মস্তিষ্কে এর আশপাশের পরিবেশে পাওয়া গন্ধ অনুসরণ করা শুরু হয়। পঙ্গপাল অতি দ্রুতগতিতে রাসায়নিক চিহ্ন নিয়ে কাজ করতে পারে। এমনকি উন্নত ক্ষুদ্রাকৃতি কেমিক্যাল-সেন্সিং ডিভাইসেও মাত্র কয়েকটি সেন্সর থাকে। অন্যদিকে এ পতঙ্গটির অ্যান্টেনায় বিভিন্ন ধরনের কয়েক লাখ সেন্সর থাকে।"
এ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় প্লাজমোনিক 'ট্যাটু' বানাচ্ছেন একই ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিষয়ের অধ্যাপক এবং ন্যানোম্যাটেরিয়ালস বিশেষজ্ঞ শ্রিকান্ত সিনগামানেনি। বায়োকমপ্যাটিবল সিল্কে তৈরি এই 'ট্যাটু' পঙ্গপালের ডানায় বসানো হবে, এবং এর উৎপন্ন মৃদু তাপ ব্যবহার করে এদের দূর থেকেই কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে চালনা করা যাবে। এ ছাড়াও এ ট্যাটুগুলো বিভিন্ন বিপজ্জনক জৈব যৌগের নমুনাও সংগ্রহ করতে পারবে।
এ প্রকল্পটি এক বছরের মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং দুই বছরের মধ্যেই বাস্তবক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে বলে আশাবাদী অধ্যাপক রামান। বিস্ফোরক ছাড়াও চিকিৎসাক্ষেত্রেও এ প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিসি জানায়, পঙ্গপালের নাসিকানুভূতিনির্ভর এ প্রযুক্তিতে পঙ্গপালগুলোকে তাপ উৎপাদী 'ট্যাটু'-এর সাহায্যে বিপজ্জনক জায়গায় পাঠানো হবে। পরবর্তীতে এদের মস্তিষ্কের নিউরাল সিগনালকে নিম্ন ক্ষমতাশীল অন-বোর্ড প্রসেসিং চিপের মাধ্যমে ডিকোড করা হবে এবং তারবিহীন পদ্ধতিতে সতর্কবার্তা পাঠানো হবে। সাধারণ এলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাল রঙের সাহায্যে বিস্ফোরকের উপস্থিতি এবং সবুজ রঙের সাহায্যে অনুপস্থিতি প্রকাশ করা হবে।
অধ্যাপক রামান বলেন, "মাত্র কয়েকশ' মিলিসেকেন্ডের মধ্যেই পঙ্গপালের মস্তিষ্কে এর আশপাশের পরিবেশে পাওয়া গন্ধ অনুসরণ করা শুরু হয়। পঙ্গপাল অতি দ্রুতগতিতে রাসায়নিক চিহ্ন নিয়ে কাজ করতে পারে। এমনকি উন্নত ক্ষুদ্রাকৃতি কেমিক্যাল-সেন্সিং ডিভাইসেও মাত্র কয়েকটি সেন্সর থাকে। অন্যদিকে এ পতঙ্গটির অ্যান্টেনায় বিভিন্ন ধরনের কয়েক লাখ সেন্সর থাকে।"
এ প্রকল্পে প্রয়োজনীয় প্লাজমোনিক 'ট্যাটু' বানাচ্ছেন একই ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিষয়ের অধ্যাপক এবং ন্যানোম্যাটেরিয়ালস বিশেষজ্ঞ শ্রিকান্ত সিনগামানেনি। বায়োকমপ্যাটিবল সিল্কে তৈরি এই 'ট্যাটু' পঙ্গপালের ডানায় বসানো হবে, এবং এর উৎপন্ন মৃদু তাপ ব্যবহার করে এদের দূর থেকেই কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে চালনা করা যাবে। এ ছাড়াও এ ট্যাটুগুলো বিভিন্ন বিপজ্জনক জৈব যৌগের নমুনাও সংগ্রহ করতে পারবে।
এ প্রকল্পটি এক বছরের মধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে এবং দুই বছরের মধ্যেই বাস্তবক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে বলে আশাবাদী অধ্যাপক রামান। বিস্ফোরক ছাড়াও চিকিৎসাক্ষেত্রেও এ প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।