কয়েক বছর আগেও মোবাইল গেইমসের জনপ্রিয়তায় শীর্ষে ছিল “ফ্রুট নিনজা” বা “অ্যাংরি বার্ডস”-এর মত কিছু সাধাসিধে ডিজাইনের ‘পরিবারবান্ধব’ গেইমস। অপেক্ষাকৃত জটিল স্টোরিলাইন ও গ্রাফিক্সের গেইমগুলো গেইমিং কনসোল ও পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্যেই উপযুক্ত বলে ধরা হত।
আজকাল
উত্সাহী গেইমারদের গেইমের বাজার ধরার জন্য ডেভলপাররা কনসোল ভিত্তিক গেইমগুলোর
দিকেই ঝুঁকছেন এবং স্মার্টফোনের বাজারে উন্মুক্ত করছেন।
বর্তমান
বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত মোবাইল গেইম হল "ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস", যা
মধ্যযুগীয় ফ্যান্টাসি জগতকে উপজীব্য করে বানানো একটি যুদ্ধ কৌশল নির্ভর গেইম। এ
সপ্তাহে চায়নার টেনসেন্ট হোল্ডিং ক্ল্যাশ
অফ ক্ল্যানসের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সুপারসেল-এর একটি বড় অংশের মালিকানা অধিগ্রহণের
ঘোষণা দিয়েছে যার অর্থমূল্য প্রায় ৮৬০ কোটি মার্কিন ডলার। গেইমিং ইতিহাসে এটাই
সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণ। এই লেনদেনের মাঝে জাপানের সফটব্যাংক গ্রুপের ৭২.২ শতাংশ স্টকও
অন্তর্ভুক্ত, জানিয়েছে রয়টার্স।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউযু এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পিটার ওয়ারম্যান বলেন,“মোবাইলের পর্দার কথা মাথায় রেখে ডিজাইনারদের অবশ্যই সাধারণ গ্রাফিক্স আর কাহিনীভিত্তিক গেইম ডেভলপ করতে হয়। কিন্তু এত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও গেইমারদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা গেইমে জটিল ও কৌশলগত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জগতের অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার সুযোগ দিয়ে থাকি।"
“ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস গেইমে আপনাকে নিজের এলাকার ভিত্তি সাজাতে হবে এবং এর পাশাপাশি আপনাকে অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। যাতে একচ্ছত্র দক্ষতা অর্জন করা আসলেই সহজ নয়” -তিনি যোগ করেন।
নিউযু-এর দেওয়া তথ্যমতে এ বছর বিশ্বজুড়ে বিক্রয়লব্ধ আয় ৩৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে এবং প্রথমবারের মত কম্পিউটার গেইমসের বিক্রয় ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অধিকাংশ গেইমের ডাউনলোড পুরোপুরি ফ্রি হলেও ডেভলপাররা কিছু "ইন গেইম পার্চেস"-এর মাধ্যমে আয় করে থাকে। যেমন অ্যাকশানের গতি বাড়ানো, শিল্ড এর সময় বাড়ানো বা নতুন কস্টিউম বা অস্ত্র কেনা ইত্যাদি।
মে, ২০১৬-তে নিউযু এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল গেইমগুলোর ৪৫ শতাংশের মতো বিক্রয়লব্ধ আয় আসে অ্যাকশান, অ্যাডভেঞ্চার, স্ট্র্যাটেজি আর রোলপ্লেয়িং গেইমসগুলো থেকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে সর্বাধিক আয় করা ১০টির মধ্যে ৭টি গেইমই ছিল অপেক্ষাকৃত জটিল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন “কোর" গেইম, যেমন ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস, মনস্টার স্ট্রাইক, গেইম অফ ওয়ার-ফায়ার ইত্যাদি। অ্যাপলের অ্যাপস্টোর এবং গুগলের প্লে স্টোরের বিক্রির হিসাব অনুসরণ করা সংস্থা অ্যাপ-অ্যানি-র তথ্য অনুযায়ী গত বছর ৫ নাম্বারে ছিল “ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা” নামের গেইমটি, যেটা একেবারেই সাধাসিধে একটি গেইম।
জনপ্রিয় গেইম “দ্যা ওয়াকিং ডেড: রোড টু সার্ভাইবাল” এর অ্যাকশানগুলো প্রথাগত ভিডিও গেইমসগুলোর তুলনায় কম সময় নিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানান গেইমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্কপলি এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জরি পিয়ারসল। তিনি আরও জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অ্যাকশান গেইমারদের চাহিদা ও মূল্যায়ন অনুযায়ী গেইমের মান এবং ফিচারগুলো অটুট রাখা।
পিয়ারসল বলেন “মোবাইলের জন্য নতুন করে 'কল অফ ডিউটি' গেইমটি তৈরি করার কোন চিন্তাভাবনা আমাদের নেই। আমরা চাচ্ছি মোবাইলের জন্য আরও উপযুক্ত গেইমিং অভিজ্ঞতা তৈরি করতে, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদেরকে আরও ভালো একটা অংশ হিসাবে কল্পনা করতে পারবেন।"
টেনসেন্ট-এর সুপারসেল অধিগ্রহণের ফলে চীনে এই গেইমের বাজার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে গেইমারের সংখ্যা বিশ্বের অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে অনেক বেশি। সুপারসেল-এর প্রধান নির্বাহী ইলকা পানানেন-এর ভাষ্যমতে প্রায় ৩০ কোটির মতো ব্যবহারকারী টেনসেন্ট প্ল্যাটফর্মে গেইম খেলে থাকেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুপারডেটা-এর প্রধান কার্যনির্বাহী জুস্ট ভ্যান ড্রিউনেন এর মতে, জটিল অ্যাকশনধর্মী গেইমগুলোর বাজার এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গেইম নির্মাতাদের জন্যে দ্রুত নতুন শিল্প একত্রীকরণের ধারা চালু হচ্ছে।
এ ছাড়া ডেভলপারদের জন্যে মোবাইল গেইমিং আগে অনেক সহজ থাকলেও এখন এটি তাদের জন্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে- এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউযু এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী পিটার ওয়ারম্যান বলেন,“মোবাইলের পর্দার কথা মাথায় রেখে ডিজাইনারদের অবশ্যই সাধারণ গ্রাফিক্স আর কাহিনীভিত্তিক গেইম ডেভলপ করতে হয়। কিন্তু এত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও গেইমারদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা গেইমে জটিল ও কৌশলগত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জগতের অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার সুযোগ দিয়ে থাকি।"
“ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস গেইমে আপনাকে নিজের এলাকার ভিত্তি সাজাতে হবে এবং এর পাশাপাশি আপনাকে অন্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। যাতে একচ্ছত্র দক্ষতা অর্জন করা আসলেই সহজ নয়” -তিনি যোগ করেন।
নিউযু-এর দেওয়া তথ্যমতে এ বছর বিশ্বজুড়ে বিক্রয়লব্ধ আয় ৩৭০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে এবং প্রথমবারের মত কম্পিউটার গেইমসের বিক্রয় ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অধিকাংশ গেইমের ডাউনলোড পুরোপুরি ফ্রি হলেও ডেভলপাররা কিছু "ইন গেইম পার্চেস"-এর মাধ্যমে আয় করে থাকে। যেমন অ্যাকশানের গতি বাড়ানো, শিল্ড এর সময় বাড়ানো বা নতুন কস্টিউম বা অস্ত্র কেনা ইত্যাদি।
মে, ২০১৬-তে নিউযু এর তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল গেইমগুলোর ৪৫ শতাংশের মতো বিক্রয়লব্ধ আয় আসে অ্যাকশান, অ্যাডভেঞ্চার, স্ট্র্যাটেজি আর রোলপ্লেয়িং গেইমসগুলো থেকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে সর্বাধিক আয় করা ১০টির মধ্যে ৭টি গেইমই ছিল অপেক্ষাকৃত জটিল বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন “কোর" গেইম, যেমন ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস, মনস্টার স্ট্রাইক, গেইম অফ ওয়ার-ফায়ার ইত্যাদি। অ্যাপলের অ্যাপস্টোর এবং গুগলের প্লে স্টোরের বিক্রির হিসাব অনুসরণ করা সংস্থা অ্যাপ-অ্যানি-র তথ্য অনুযায়ী গত বছর ৫ নাম্বারে ছিল “ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা” নামের গেইমটি, যেটা একেবারেই সাধাসিধে একটি গেইম।
জনপ্রিয় গেইম “দ্যা ওয়াকিং ডেড: রোড টু সার্ভাইবাল” এর অ্যাকশানগুলো প্রথাগত ভিডিও গেইমসগুলোর তুলনায় কম সময় নিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানান গেইমটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্কপলি এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জরি পিয়ারসল। তিনি আরও জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অ্যাকশান গেইমারদের চাহিদা ও মূল্যায়ন অনুযায়ী গেইমের মান এবং ফিচারগুলো অটুট রাখা।
পিয়ারসল বলেন “মোবাইলের জন্য নতুন করে 'কল অফ ডিউটি' গেইমটি তৈরি করার কোন চিন্তাভাবনা আমাদের নেই। আমরা চাচ্ছি মোবাইলের জন্য আরও উপযুক্ত গেইমিং অভিজ্ঞতা তৈরি করতে, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদেরকে আরও ভালো একটা অংশ হিসাবে কল্পনা করতে পারবেন।"
টেনসেন্ট-এর সুপারসেল অধিগ্রহণের ফলে চীনে এই গেইমের বাজার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনে গেইমারের সংখ্যা বিশ্বের অন্য যেকোনো জায়গার চেয়ে অনেক বেশি। সুপারসেল-এর প্রধান নির্বাহী ইলকা পানানেন-এর ভাষ্যমতে প্রায় ৩০ কোটির মতো ব্যবহারকারী টেনসেন্ট প্ল্যাটফর্মে গেইম খেলে থাকেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুপারডেটা-এর প্রধান কার্যনির্বাহী জুস্ট ভ্যান ড্রিউনেন এর মতে, জটিল অ্যাকশনধর্মী গেইমগুলোর বাজার এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গেইম নির্মাতাদের জন্যে দ্রুত নতুন শিল্প একত্রীকরণের ধারা চালু হচ্ছে।
এ ছাড়া ডেভলপারদের জন্যে মোবাইল গেইমিং আগে অনেক সহজ থাকলেও এখন এটি তাদের জন্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে- এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।