গবেষকেরা বলছেন, একজন মানুষ স্মার্টফোনের ১ সেন্টিমিটারের মধ্যে এবং ট্যাবলেট কম্পিউটারে ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটারের মধ্যে কোথায় তাকাচ্ছে তা খুব নিখুঁতভাবে নির্ণয় করে সফটওয়্যারকে প্রশিক্ষিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
এমআইটির এক প্রাক্তন ছাত্র আদিত্য খোসলে বলেন, এখনো অতটা নির্ভুল নয়। বিশেষ করে আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনের পর্দার সামগ্রিক আকার বিবেচনা করেন, তবে এটা এখনো যথেষ্ট সঠিক ফলাফল দিতে পারবেন না। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন আরও তথ্য যোগ করলে এই প্রযুক্তি আরও নিখুঁত করে তোলা সম্ভব হবে। যদি সম্ভব হয় তবে আই-ট্র্যাকিং প্রযুক্তির জনপ্রিয়তা বাড়বে এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়াবে। এই প্রযুক্তি সফল হলে গেম খেলার জন্য ও স্মার্টফোন চালানোর জন্য খুবই প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করতে পারবে। তখন আর স্মার্টফোনের পর্দায় স্পর্শ করে কিংবা বোতাম চাপতে হবে না।
গবেষকেরা আইফোনে ‘গেজ ক্যাপচার’ নামের একটি অ্যাপ তৈরি করা
শুরু করেছিল, যেটা মানুষ কীভাবে বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে তাদের ফোনের
দিকে তাকায় সে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সে তথ্য এখন স্মার্টফোনের
আই-ট্র্যাকার সফটওয়্যারের প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা যেত।
প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন এই গেজ ক্যাপচার অ্যাপটি ব্যবহার
করেছে। খোসলে বলেছেন যে তিনি মনে করেন, যদি ১০ হাজার জনের কাছ থেকে তথ্য
সংগ্রহ করা সম্ভব হয়, তবে তা আই-ট্র্যাকারের ভুলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য
করবে।
অনামিকা মণ্ডল, সূত্র: এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ