ব্যাটারির চার্জের স্থায়িত্বের পরীক্ষায় এগিয়ে আছে স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এবং গ্যালাক্সি এস৭ এজ স্মার্টফোন দুটি। আজকাল অনেক ক্ষেত্রেই যেমন ‘শর্ত প্রযোজ্য’ লেখা জুড়ে দেওয়া হয়, এখানেও তেমন শর্ত আছে। আর তা হলো, আপনি যদি স্যামসাং ডয়েচেল্যান্ডের প্রকাশ করা ভিডিওতে বিশ্বাস রাখেন, যেখানে দেখা যায় আরও পাঁচটি ব্র্যান্ডের শীর্ষ স্মার্টফোনের সঙ্গে স্যামসাংয়ের এ দুটি মডেলের ব্যাটারির স্থায়িত্বের পরীক্ষা চলছে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ এবং এস৭ এজের সঙ্গে ছিল হুয়াওয়ে পি৯, অ্যাপল আইফোন ৬এস, এইচটিসি ১০, সনি এক্সপেরিয়া এক্স এবং এলজি জি৫। একটানা একই ভিডিও চালানো হয় সব মুঠোফোনে। পরীক্ষা শুরুর সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর থেকে ফোনগুলোর ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার পালা শুরু হয়। প্রথমেই এলজির জি৫ স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়। এরপর ক্রমান্বয়ে হুয়াওয়ে পি৯, সনি এক্সপেরিয়া এক্স, এইচটিসি ১০ এবং আইফোন ৬এস স্মার্টফোনের ব্যাটারি নিঃশেষ হয়। আইফোন ৬এস-এর চার্জ ছিল ৮ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। তখনো টিকে ছিল স্যামসাংয়ের দুটি মডেলের স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ। গ্যালাক্সি এস৭ এজ টিকে ছিল ঠিক সাড়ে ১০ ঘণ্টা। আর গ্যালাক্সি এস৭ ১০ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট।
পরীক্ষায় পরিষ্কারভাবে জয়ী হয়েছে স্যামসাং। স্যামসাংয়ের দাবি—তারা পরীক্ষায় ব্যবহার করা স্মার্টফোনের মধ্যে কোনো বৈষম্য করেনি। তারপরও কিছু প্রশ্ন অবশ্য থেকে যায়। স্মার্টফোনগুলোর সেটিংস একই ছিল কি না তা জানা যায়নি। পরীক্ষা শুরুর আগে প্রতিটি ব্যাটারির চার্জ শতভাগ ছিল কি না সে ব্যাপারেও উল্লেখ করা হয়নি। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, পরীক্ষায় আইফোন ৬এস রাখা হলেও ৬এস প্লাস মডেলটি রাখা হয়নি। ব্যাটারির স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে স্মার্টফোনের পর্দার আকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে ক্ষেত্রে আইফোন ৬এস-এর ৪.৭ ইঞ্চির পর্দার চেয়ে আইফোন ৬এস প্লাস হয়তো সমকক্ষ হতো। আর ব্যাটারির বড় আকারের বিষয়টিও জড়িত আছে এখানে। পরীক্ষাটি আরও নির্ভেজাল করতে এসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত ছিল স্যামসাংয়ের। আর তাই বলা চলে, স্যামসাংয়ের ভিডিওটি ভালো। কিন্তু ব্যাটারির স্থায়িত্বের প্রশ্নে অনেকেই হয়তো গ্যালাক্সি এস৭ এবং গ্যালাক্সি এস৭ এজের শ্রেষ্ঠত্ব এত সহজে মেনে নেবে না।
অনামিকা মণ্ডল, সূত্র: ম্যাশেবল
 
Top