ইন্টারনেট ব্রাউজার সফটওয়্যার ওয়েব দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ানো অনেক সহজ করে দিয়েছে। আপনি যদি গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে কিছু কৌশল প্রয়োগ করেই আরও সহজে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুততর করতে পারেন। গুগল ক্রোমের আছে কিছু শর্টকাট এবং লুকানো ফিচার। যা আপনাকে ব্রাউজিংয়ের গতি আরও দ্রুততর করবে।
অমনিবক্সের সুবিধা
ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারকে গুগল ক্রোমে অমনিবক্স বলা হয়। এখানে কিছু লিখে এন্টার করলেই সেটি গুগল সার্চেও পাওয়া যায়। কাজ করতে গিয়ে হুট করে যোগ, ভাগ, গুন করার প্রয়োজন পড়লে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যা লিখে দিলে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাবে। যেমন সাধারণত যোগ করতে ১৫ + ৬ অমনিবক্সে লিখে এন্টার করলে সেটির যোগ ফল দেখা যাবে। একই নিয়মে গুন ও ভাগ করা যাবে অমনিবক্সে থেকেই।
ভুলে ট্যাব বন্ধ হলে
কাজ করতে গিয়ে ভুল করে কোনো ট্যাব বন্ধ করেছেন কিন্তু সেই ট্যাবের কাজটা জরুরি ছিল! চিন্তা করবেন না, িক-বোর্ড থেকে Ctrl + Shift + T চাপুন অথবা চালু থাকা অন্য ট্যাবের টাইটেল বারে মাউসের রাইট বোতাম চেপে Reopen closed tab এ ক্লিক করলে সেটি পুনরায় খুলে যাবে।
টাস্ক ম্যানেজার
কম্পিউটারের টাস্ক ম্যানেজারের মতো গুগল ক্রোমেও টাস্ক ম্যানেজার আছে। একসঙ্গে একাধিক ট্যাব নিয়ে কাজ করতে অনেক সময় ব্রাউজার ধীর হতে পারে। তখন ক্রোমের টাস্ক ম্যানেজার চালু করে সিপিইউ এবং মেমোরির ব্যবহার দেখে নিতে পারেন। প্রয়োজনে যে ট্যাব বেিশ মেমোরি বা সিপিইউ ব্যবহার করছে সেটি বন্ধ করতে পারবেন। এ জন্য টাইটেল বারের ফাঁকা জায়গায় মাউসের রাইট ক্লিক করে Task manager খোলা যাবে। অথবা Shift + escape key চাপলেই টাস্ক ম্যানেজার চালু হবে।
অটো প্লে বন্ধ
ইউটিউব, ভিমিও, পেন্ডোরার ভিডিও বা ফ্ল্যাশ ফাইল যদি আপনা আপনি চলতে থাকে তবে সেটি বন্ধ করে নিন। এ জন্য ক্রোম চালু করে ব্রাউজারের অমনিবক্সে (অ্যাড্রেস বার) chrome://settings/content লিখে এন্টার চাপুন। Content Settings খুলে যাবে। এর নিচে এসে Plug-ins বিভাগের Click to play নির্বাচন করে দিন। তাহলে কোনো ভিডিও আর স্বয়ংক্রিয় চালু হবে না ফলে ইন্টারনেটের মেগাবাইটও সাশ্রয় হবে।
জমা থাকবে সবকিছু
যদি একাধিক কম্পিউটারে কাজ করে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তাহলে নতুন করে অন্য কম্পিউটারে ক্রোমের জন্য আলাদা সেটিংস করতে হবে না। চাইলেই একই বুকমার্ক, এক্সটেশান, থিম, হিস্ট্রিকে অন্য কম্পিউটারের ক্রোম ব্রাউজার থেকেও ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ, এক কম্পিউটারে যে কাজ করেছেন একই কাজ বা ওয়েব ঠিকানা আর মনে রাখতে হবে না। অন্য কম্পিউটারে গিয়ে ঠিক সেটিই ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য Sign in to Chrome এ আপনার ব্যবহৃত জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন থাকতে হবে। ক্রোমে লগইন না থাকলে ব্রাউজারের ওপরের ডান পাশের সেটিংস থেকে Sign in to Chrome এ ক্লিক করুন। লগইন মেন্যু এলে জিমেইলের ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে নিন। অন্য কম্পিউটারে কাজ করলে একই জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আবার সেই ব্রাউজারে Sign in to Chrome-এ লগইন করতে হবে।
পিন ট্যাব
কোনো ওয়েব ঠিকানা বা সংযোগকে (লিঙ্ক) যদি প্রতিদিন খোলার দরকার পড়ে, তবে সেই ট্যাবকে পিন করে রাখতে পারেন। তাহলে সেই ট্যাব প্রত্যেকবার ব্রাউজার চালু হওয়ার সঙ্গেই লোড হবে। নতুন করে খোলার দরকার হবে না। এটি করতে কাঙ্ক্ষিত ট্যাবের ওপর মাউসের ডান বোতাম চেপে Pin tab এ ক্লিক করুন।
ট্যাব থেকে ট্যাবে
একসঙ্গে অনেকগুলো ওয়েব ঠিকানাকে আলাদা ট্যাবে চালানোর সুবিধা তো আছেই। চাইলেই Ctrl + Tab চেপে আলাদা ট্যাবে যেতে পারবেন। Ctrl + 1 চাপলে প্রথম ট্যাবে, Ctrl + 2 চাপলে দ্বিতীয় ট্যাবে এভাবে পর্যায়ক্রমে Ctrl কি এবং কাঙ্ক্ষিত ট্যাবের আনুমানিক অবস্থান দেখে নিয়ে সে কি চাপলেই তাতে যাওয়া যাবে।
ইনকগনিটো মুড
ইনকগনিটো মুড একটি ব্যক্তিগত ব্রাউজিং সুবিধা। আপনি যদি ইনকগনিটো মুডে ব্রাউজ করেন তবে হিস্টোরি, কুকিজ, ডাউনলোডের কোনো রেকর্ড ব্রাউজারে থাকবে না। ব্রাউজিং শেষে সব মুছে যাবে। ক্রোম ব্রাউজার চালু করে Ctrl + Shift + N একসঙ্গে চাপলে এটি খুলবে। অথবা ক্রোমের Settings-এ গিয়ে New incognito Window তে ক্লিক করলেই হবে। অথবা যেকোনো লিঙ্কের ওপর মাউসের রাইট বোতাম চেপে open link in incognito window নির্বাচন করে খুললে কাঙ্ক্ষিত লিঙ্কের কোনো রেকর্ড ব্রাউজার জমা করবে না। একইভাবে এই সুবিধা ব্যবহার করে আপনি একই ব্রাউজারে দুটি আলাদা ই-মেইল, বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন। আপনার যদি দুটি আলাদা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থাকে তবে রেগুলার ক্রোমে সেটি চালু থাকা অবস্থায় ইনকগনিটো মুডে আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
সহজ ব্রাউজিং
* ব্রাউজারে কোনো তথ্য খুঁজতে গিয়ে নতুন কোনো বিষয় চোখে পড়ল এবং সেটি সম্পর্কেও জানতে চাইছেন। এমন হলে হয়তো সেই বিষয়টা আবার আরেকটা ট্যাবে লিখে সার্চ করতে চাচ্ছেন। থামুন! আলাদাভাবে ট্যাব খুলে সার্চ না করে সেই বিষয়ের লেখাগুলো মাউস দিয়ে নির

 
Top