চলতি 2016 বছরের সেপ্টেম্বরে আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে অ্যাপল। বহুল প্রতীক্ষিত এই ডিভাইস দু’টি চলবে চোখের ইশারায়। দু’টি মডেলেই উন্নত মানের ক্যামেরা ও থ্রিডি টাচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, তবে থাকবে না কোনো হেডফোন জ্যাক। শুধু তাই নয়, স্মার্টফোন দু’টিতে জুড়ে দেয়া হবে পানিরোধী প্রযুক্তি।

প্রযুক্তিবিশ্বের সর্বশেষ গুঞ্জণে এসব তথ্য ঘুরেফিরে আসছে। বলা হচ্ছে, আইফোন ৬ আর ৬ প্লাসের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করবে আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাস।
পিসি অ্যাডভাইজর ডটকম নামের এক প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাজারে আসবে আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাস। মডেল দু’টিতে উন্নত ধরনের ক্যামেরা আর থ্রিডি টাচ প্রযুক্তি যোগ হবে। তবে সবচেয়ে বড় চমকটা থাকবে ডিভাইসটির ব্যাটারি আর মেমোরিতে।
গ্যাজেট এরেনা নামের এক ফোন বিষয়ক ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে সূত্র জানিয়েছে, আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাসে ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ থাকবে। আইপড টাচের মতো পাতলা হবে ডিভাইস দু’টি। আইফোন ৭ -এ ৪.৭ ইঞ্চি ও আইফোন ৭ প্লাসে ৫.৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে থাকবে।
অনলাইনে ফাঁস হওয়া বিভিন্ন তথ্য ও ছবি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য দিয়েছে পিসি অ্যাডভাইজর।
সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরুতে ম্যাকওটাকারা নামের অ্যাপলের পণ্যভিত্তিক জাপানি এক ব্লগ দাবী করা হয়, পরবর্তী আইফোনের দু’টি সংস্করণ এতোটাই পাতলা হবে যে, তাতে ৩.৫ মিলিমিটার আকৃতির হেডফোন জ্যাক স্থাপন করা হবে না। এর পরিবর্তে ব্লুটুথ হেডফোন বা লাইটনিং পোর্ট প্রযুক্তি যোগ করতে পারে অ্যাপল।
আইফোন ৭ ও আইফোন ৭ প্লাস নিয়ে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস থেকেই কানাঘুষা শুরু হয়। প্রথম দিকে বলা হয়, পরবর্তী আইফোনের ডিজাইনে পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে অ্যাপল। এতে ডিভাইসটির গোলাকার হোম বাটন তুলে দেয়া হতে পারে।
ইন্টারনেট নিয়ে কাজ করে বিখ্যাত হওয়া প্রতিষ্ঠান ‘পিপার জাফ্রে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গবেষক গিনি মানস্টার এই তথ্য দেন। তিনি জানান, থ্রিডি টাচ সমৃদ্ধ আইফোনের স্ক্রিনে চাপ দিলে বাড়তি কাজ করার জন্য অপশন পাওয়া যায়। সেজন্য গোলাকার হোম বাটন উঠিয়ে দিলেও কোনো সমস্যা হবে না, বরং আকার বৃদ্ধি পাবে।
পিসি অ্যাডভাইজর আরও জানিয়েছে, পরবর্তী আইফোনে আই-ট্র্যাকিং সফটওয়্যার থাকবে। এই সফটওয়্যারের ফলে চোখের ইশারায় চলবে ডিভাইস।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের দিকে আই-ট্র্যাকিং সফটওয়্যার সমৃদ্ধ পেটেন্টের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে অ্যাপল। সেই আবেদন সম্প্রতি অনুমোদন পায়। এরপরই এই গুঞ্জন উঠে। এ সময় বলা হয়, আই-ট্র্যাকিং প্রযুক্তি আইফোনের পরবর্তী সংস্করণে ব্যবহার করা হলে ব্যবহারকারী কোনো অ্যাপের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকালে সেটি চালু হয়ে যাবে।
 
Top