বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন ইউজারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর
বর্তমানে স্মার্টফোন ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে স্যামসাঙ। সম্প্রতি
কিছুদিন আগে দুবাই তে একটি স্যামসাঙ স্মার্টফোনের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই
বিস্ফোরণে স্মার্টফোন টি ছাড়া অন্য কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তারপর
সুইজারল্যান্ড এ একটি স্মার্ট ফোনে অগ্নিসংযোগ ঘটে এবং সর্বশেষ হংকং এ
গালাক্সি এস ৪ বিস্ফোরণে সম্পূর্ণ একটি এপার্টমেন্ট পুড়ে যায়। একবার
ভাবুন, দিনভর আপনি আপনার স্মার্ট ফোন টি ব্যবহার করে থাকেন। সারাদিনে কখনো
এটি আপনার হাতে, কখনো আপনার পকেটে থাকছে, আবার কল আসলে আপনি কানে লাগিয়ে
কথাও বলছেন। আর বর্তমানে টিন এজারদের প্রায় সারাদিন কাটে স্মার্টফোন
নিয়ে। যেখানে স্মার্টফোনের ব্যবহার এত বেশি সেখানে এরকম দুর্ঘটনা সত্যি
আমাদের ভাবিয়ে তুলে। তাও আবার যেন তেন চাইনিজ স্মার্টফোনে বিস্ফোরণ ঘটলে
একটা কথা ছিল, কিন্তু ঘটেছে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক স্মার্টফোন স্যামসাঙ
গালাক্সি এস ৪ এ। তাই ভাবনা টা আরও বেশি।
এখন কথা হল ব্যাটারি এসেম্বলি অথবা ব্যাটারি ডিজাইনে ত্রুটি না থাকলে সাধারনত এই ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার কথা না। লিথিয়াম ব্যাটারির ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি হয়ে থাকে তার নাম হল থার্মাল রানওয়ে প্রবলেম। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য লিথিয়াম ব্যাটারিতে একটি সিস্টেম দেয়া থাকে যা অতিরিক্ত চারজিং সংক্রান্ত সমস্যা এবং ব্যাটারির ভিতরের কেমিক্যাল গুলোর মধ্যে অস্বাভাবিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করে। অনেক সময় বলা হয়ে থাকে নাম না জানা কোম্পানি গুলোর ব্যাটারি অরিজিনাল ব্যাটারির মতই নির্ভরযোগ্য। এই কথা অনেক ক্ষেত্রে সত্য আবার অনেক ক্ষেত্রে সত্য নয়।
মোবাইল ফোন, বিশেষ করে স্মার্টফোনের ব্যাটারি গুলো অত্যন্ত পাতলা হওয়ার কারণে এর মধ্যে পজিটিভ এবং নেগেটিভ প্লেট গুলো একটি পাতলা সেপারেটর দিয়ে আলাদা করা থাকে। এই দুই প্লেটের মাঝে কোন কিছুর অস্বাভাবিক পরিবর্তন হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা আরো বেড়ে যায়। তাই বলা যায় আপনার ব্যাটারির ম্যানুফ্যাকচার কোয়ালিটি যদি ভাল না হয়, তখন আপনি যদি ব্যাটারি ওভার চারজিং করেন অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ব্যাটারি চার্জে লাগিয়ে রাখেন তাহলে সেই কাজটি আগুনে তেল ঢালার মত কাজ করে।
ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি গুলো যদি সঠিক গাইড লাইন মেনে ব্যাটারি তৈরি করে তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে না। কিন্তু কোন কোম্পানি যদি সুরক্ষার বদলে টাকা কে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাটারি তৈরি করার সময় সেফটি ফিউজ অর্থাৎ যে ফিউজ টি ব্যাটারি ওভার হিট হলে সার্কিট গুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, সেটি না দেয় তাহলে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতেই পারে।
ব্যাটারি জনিত দুর্ঘটনা এড়াতে নিচের বিষয় গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখা আবশ্যকঃ
১) সবসময় ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট এর ক্ষেত্রে অরিজিনাল ব্যাটারি অথবা ভাল কোন কোম্পানির নির্ভরযোগ্য ব্যাটারি ব্যবহার করুন। আপনার যদি Ferrari গাড়ি থাকে তাহলে Ferrari এর চাকায় আপনি নিশ্চয়ই টয়োটার টায়ার লাগাবেন না। তাই কম দামি ব্যাটারি ব্যবহার করবেন না, কারণ আপনার ফোনের ব্যাটারির চেয়ে অবশ্যই আপনার ফোনের মূল্য অনেক বেশি।
২) যখন আপনি আপনার ডিভাইস টি চার্জে দিয়ে রাখবেন তখন অবশ্যই ডিভাইস টি গরম কোন কিছুর আসে পাশে রাখবেন না। কারন এতে ওভার হিটিং সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা আরও বেড়ে যায়। তাই এক কথায় বলতে পারি Keep it in a cool and dry place.
৩) ফোন চার্জ করার সময় এমন কোন অ্যাপ ব্যবহার বা গেম না খেলাই ভাল যা আপনার ডিভাইস গরম করে ফেলে। অথবা ব্যবহার করলেও গরম হওয়ার পর কিছুক্ষণ ব্রেক দিয়ে ডিভাইস কে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরে আসার সুযোগ দিন।
৪) আর স্মার্টফোন এক্সপার্টদের মতে ব্যাটারিতে 50% চার্জ অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় ব্যাটারি চার্জ দেয়া ভাল। এতে আপনার ব্যাটারি লাইফ ভাল থাকবে।
৫) সর্বশেষ কথা হল লো ভোল্টেজে ব্যাটারি চার্জ করবেন না। করলে সোজা কথায় এতে আপনার ব্যাটারির ১২ টা বেজে যাবে।
*** সর্বশেষ আপনাদের দেখাচ্ছি হংকং দুর্ঘটনার ছবি…
কি ছবি দেখে বিশ্বাস হচ্ছে না যে একটা স্মার্টফোন দিয়ে কিভাবে এত বড় ঘর পুড়ে গেল !!! গুগল সার্চ করেন তাহলেই বিশ্বাসে মুক্তি মিলে যাবে।
তো বন্ধুরা নিজের ঘর, বাড়ি অথবা এপার্টমেন্ট যদি অক্ষত রাখতে চান তাহলে উপরের টিপস গুলো মনে রাখলেই হবে। ভাল থাকবেন।
এখন কথা হল ব্যাটারি এসেম্বলি অথবা ব্যাটারি ডিজাইনে ত্রুটি না থাকলে সাধারনত এই ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার কথা না। লিথিয়াম ব্যাটারির ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি হয়ে থাকে তার নাম হল থার্মাল রানওয়ে প্রবলেম। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য লিথিয়াম ব্যাটারিতে একটি সিস্টেম দেয়া থাকে যা অতিরিক্ত চারজিং সংক্রান্ত সমস্যা এবং ব্যাটারির ভিতরের কেমিক্যাল গুলোর মধ্যে অস্বাভাবিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করে। অনেক সময় বলা হয়ে থাকে নাম না জানা কোম্পানি গুলোর ব্যাটারি অরিজিনাল ব্যাটারির মতই নির্ভরযোগ্য। এই কথা অনেক ক্ষেত্রে সত্য আবার অনেক ক্ষেত্রে সত্য নয়।
মোবাইল ফোন, বিশেষ করে স্মার্টফোনের ব্যাটারি গুলো অত্যন্ত পাতলা হওয়ার কারণে এর মধ্যে পজিটিভ এবং নেগেটিভ প্লেট গুলো একটি পাতলা সেপারেটর দিয়ে আলাদা করা থাকে। এই দুই প্লেটের মাঝে কোন কিছুর অস্বাভাবিক পরিবর্তন হলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা আরো বেড়ে যায়। তাই বলা যায় আপনার ব্যাটারির ম্যানুফ্যাকচার কোয়ালিটি যদি ভাল না হয়, তখন আপনি যদি ব্যাটারি ওভার চারজিং করেন অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ব্যাটারি চার্জে লাগিয়ে রাখেন তাহলে সেই কাজটি আগুনে তেল ঢালার মত কাজ করে।
ব্যাটারি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি গুলো যদি সঠিক গাইড লাইন মেনে ব্যাটারি তৈরি করে তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে না। কিন্তু কোন কোম্পানি যদি সুরক্ষার বদলে টাকা কে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাটারি তৈরি করার সময় সেফটি ফিউজ অর্থাৎ যে ফিউজ টি ব্যাটারি ওভার হিট হলে সার্কিট গুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, সেটি না দেয় তাহলে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতেই পারে।
ব্যাটারি জনিত দুর্ঘটনা এড়াতে নিচের বিষয় গুলোর প্রতি দৃষ্টি রাখা আবশ্যকঃ
১) সবসময় ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট এর ক্ষেত্রে অরিজিনাল ব্যাটারি অথবা ভাল কোন কোম্পানির নির্ভরযোগ্য ব্যাটারি ব্যবহার করুন। আপনার যদি Ferrari গাড়ি থাকে তাহলে Ferrari এর চাকায় আপনি নিশ্চয়ই টয়োটার টায়ার লাগাবেন না। তাই কম দামি ব্যাটারি ব্যবহার করবেন না, কারণ আপনার ফোনের ব্যাটারির চেয়ে অবশ্যই আপনার ফোনের মূল্য অনেক বেশি।
২) যখন আপনি আপনার ডিভাইস টি চার্জে দিয়ে রাখবেন তখন অবশ্যই ডিভাইস টি গরম কোন কিছুর আসে পাশে রাখবেন না। কারন এতে ওভার হিটিং সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা আরও বেড়ে যায়। তাই এক কথায় বলতে পারি Keep it in a cool and dry place.
৩) ফোন চার্জ করার সময় এমন কোন অ্যাপ ব্যবহার বা গেম না খেলাই ভাল যা আপনার ডিভাইস গরম করে ফেলে। অথবা ব্যবহার করলেও গরম হওয়ার পর কিছুক্ষণ ব্রেক দিয়ে ডিভাইস কে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরে আসার সুযোগ দিন।
৪) আর স্মার্টফোন এক্সপার্টদের মতে ব্যাটারিতে 50% চার্জ অবশিষ্ট থাকা অবস্থায় ব্যাটারি চার্জ দেয়া ভাল। এতে আপনার ব্যাটারি লাইফ ভাল থাকবে।
৫) সর্বশেষ কথা হল লো ভোল্টেজে ব্যাটারি চার্জ করবেন না। করলে সোজা কথায় এতে আপনার ব্যাটারির ১২ টা বেজে যাবে।
*** সর্বশেষ আপনাদের দেখাচ্ছি হংকং দুর্ঘটনার ছবি…
কি ছবি দেখে বিশ্বাস হচ্ছে না যে একটা স্মার্টফোন দিয়ে কিভাবে এত বড় ঘর পুড়ে গেল !!! গুগল সার্চ করেন তাহলেই বিশ্বাসে মুক্তি মিলে যাবে।
তো বন্ধুরা নিজের ঘর, বাড়ি অথবা এপার্টমেন্ট যদি অক্ষত রাখতে চান তাহলে উপরের টিপস গুলো মনে রাখলেই হবে। ভাল থাকবেন।