ড্র করলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, হারলেই বাদ এই সমীকরণে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল ব্রাজিল।
দ্বাদশ মিনিটে লেফট ব্যাক ফিলিপে লুইসের শট ডানে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। ২৬তম মিনিটে গাব্রিয়েলকে গোলবঞ্চিত করেন গোলরক্ষক পেদ্রো গালাসে। ডি-বক্সের মাঝ থেকে নেওয়া সান্তোসের এই ফরোয়ার্ডের শট ডানে ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তিনি।
১০ মিনিট পর বাঁ দিক থেকে লুইসের ক্রসে ডি-বক্সের মাঝে থাকা উইলিয়ানের শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।
বিরতির কিছু আগে মিনিট আগে লুকাস লিমার শট আঙুলের ছোঁয়ায় কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ব্রাজিলের বিপক্ষে একটি পেনাল্টি না দেওয়ার সিদ্ধান্তও ‘বিতর্কিত’ ছিল। ডি-বক্সে এদিনসন ফ্লোরেসকে ব্রাজিলের রেনাতো আউগুস্তো পা বাড়িয়ে ফেলে দিলেও তা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়।
শেষ আটে উঠতে হলে জিততেই হবে দেখে দ্বিতীয়ার্ধে আর রক্ষণাত্মক খোলসে থাকেনি পেরু। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে তখন জমে উঠে খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসনকে ফ্রি-কিকে পরীক্ষায় ফেলেন ক্রিস্তিয়ান কুয়েভো।
৬৩তম মিনিটে ডি-বক্স থেকে কৌতিনিয়োর শট প্রতিহত করেন আলবের্তো রদ্রিগেস।
৭৫তম মিনিটে আসে রুইদিয়াসের ওই বিতর্কিত গোল। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা গেছে ডান দিক থেকে আন্দি পলোর ক্রসে হাত দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন বদলি হিসেবে নামা এই স্ট্রাইকার। তবে ভিডিও রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সুযোগ নেই কোপা আমেরিকার এই আসরে। অনেক সময় নিয়ে সহকারীর সঙ্গে আলোচনা করে হ্যান্ডবলটি ধরতে পারেননি উরুগুয়ের রেফারি আন্দ্রেস কুনাহ। ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের ক্ষোভে ফাটিয়ে পেরুর পক্ষে গোলের সিদ্ধান্ত দেন তিনি।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পেরু নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে বাংলাদেশ সময় শনিবার ভোরে মুখোমুখি হবে কলম্বিয়ার।