মরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
প্রত্যেক জীবিত প্রাণীর মরণ অপরিহার্য। মরণ হতে কেউ পরিত্রান পেলে
সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি মুহাম্মাদ (ছাঃ) ই পেতেন। তাকেও মরণ স্বীকার
করতে হয়েছে। মরণ আল্লাহর পক্ষ হতে সৃষ্টিকুলের জন্য অবধারিত।
আল্লাহর তা’আলা বলেনঃ
“নিশ্চয়ই আপনারও মরণ হবে এবং তাদেরও মরণ হবে”। (যুমার-৩০)
অত্র আয়াত দ্বরা প্রতীয়মান হয় যে, সৃষ্টির সেরা এবং সকল নবীর মধ্যমণি হওয়া সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ) মরণের আওতা বর্হিভূত নন। অতএব, কোন মানুষ মরণের আওতার বাইরে যেতে পারে না। আরও প্রতীয়মান হয় যে, সকলকেই পরকালের চিন্তায় মনযোগী হতে হবে, এবং পরকালের কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
অত্র আয়াত দ্বরা প্রতীয়মান হয় যে, সৃষ্টির সেরা এবং সকল নবীর মধ্যমণি হওয়া সত্ত্বেও রাসূল (ছাঃ) মরণের আওতা বর্হিভূত নন। অতএব, কোন মানুষ মরণের আওতার বাইরে যেতে পারে না। আরও প্রতীয়মান হয় যে, সকলকেই পরকালের চিন্তায় মনযোগী হতে হবে, এবং পরকালের কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
আল্লাহ তা’আল অন্যত্র বলেনঃ
وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّن قَبْلِكَ الْخُلْدَ ۖ أَفَإِن مِّتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ
وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِّن قَبْلِكَ الْخُلْدَ ۖ أَفَإِن مِّتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَنَبْلُوكُم بِالشَّرِّ وَالْخَيْرِ فِتْنَةً ۖ وَإِلَيْنَا تُرْجَعُونَ
“আপনার
পূর্বেও আমি কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং আপনার মরণ হলে তারা
কি চিরজীবি হবে? প্রত্যেককে মরণের স্বাদ আস্বাদন করতে হবে, আমি তোমাদেরকে
মন্দ ও ভাল দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি, এবং আমার কাছেই তোমাদেরকে ফিরে আসতে
হবে”। (আম্বিয়া-৩৪-৩৫)
আয়াত দ্বারা বুঝা যায় যে, পূর্বাপর কোন
মানুষ চিরদিন থাকবে না একদিন না একদিন তাকে মরণের বিশেষ কষ্ট অনুভব করতেই
হবে। আর অসুখ-বিসুখ, দুঃখ-কষ্ট এবং শরীরের সুস্থতা ও নিরাপত্তা উভয়ই
পরীক্ষার মাধ্যম।
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেনঃ
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ [٣:١٨٥]
كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ ۗ وَإِنَّمَا تُوَفَّوْنَ أُجُورَكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ۖ فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ ۗ وَمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلَّا مَتَاعُ الْغُرُورِ [٣:١٨٥]
“প্রত্যেক
প্রানীকে মরণের স্বাদ আস্বাদন করতে হবে, আর তোমরা ক্বিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ
বদলা পাবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ
করানো হবে সে সফলতা লাভ করবে, আর পার্থিব জীবন একমাত্র ধোঁকার সম্পদ”। (আল ইমরান-১৮৫)
অত্র আয়অত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রণী মরণের হাত থেকে রেহাই পাবে না। অবশ্যই কর্মের ফল পাবে। আর পার্থিব জীবন একমাত্র ধোঁকার সম্পদ।
অত্র আয়অত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কোন প্রণী মরণের হাত থেকে রেহাই পাবে না। অবশ্যই কর্মের ফল পাবে। আর পার্থিব জীবন একমাত্র ধোঁকার সম্পদ।
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেনঃ
وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللَّهُ النَّاسَ بِظُلْمِهِم مَّا تَرَكَ عَلَيْهَا مِن دَابَّةٍ وَلَٰكِن يُؤَخِّرُهُمْ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ۖ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ [١٦:٦١]
وَلَوْ يُؤَاخِذُ اللَّهُ النَّاسَ بِظُلْمِهِم مَّا تَرَكَ عَلَيْهَا مِن دَابَّةٍ وَلَٰكِن يُؤَخِّرُهُمْ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ۖ فَإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ [١٦:٦١]
“যদি
আল্লাহ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভূপৃষ্ঠে
চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুত সময় পর্যন্ত তাদেরকে
অবকাশ দেন । অতঃপর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক
মুহুর্তও বিলম্বিত কিংবা তরান্বিত করতে পারবে না”। (নাহল-৬১)
মহান আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ [٦٣:٩]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ [٦٣:٩]
“হে
মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে
গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত”। (মুনাফিক্বন-৯)
“ ইবনে উমর
(রাঃ) বলেন, একবার রাসূল (ছাঃ) আমার শরীরের এক অংশ ধরে বললেন, পৃথিবীতে
অপরিচিত অথবা পথযাত্রীর ন্যায় জীবনযাপন কর। আর প্রতিনিয়ত নিজেকে কবরবাসী
মনে কর”। ( বুখারী, ৫০৪৪)
“আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) বলতেন, যখন
সন্ধ্যায় অবস্থান করছ তখন আর সকালের জন্য অপেক্ষা কর না; আর যখন সকালে
অবস্থান করছ তখন সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা কর না। তোমরা সুস্থতার মধ্য হতে
কিছু সময় অসুস্থতার জন্য রেখে দাও এবং তোমার জীবদ্দশায় মৃত্যর পাথেয় যোগার
করে নাও”। (বুখারী, রিয়াযুছ ছালেহীন ৫৭৪)
অত্র হাদীছদ্বয়ে বলা হয়েছে ,
(১) দুনিয়াতে অপরিচিত অবস্থায় থাকা ভাল।
(২) পথিক যেমন গাছের ছায়ায় আরামের জন্য অল্প সময় বসে মানুষের জীবন তেমন।
(৩) প্রত্যেককে কবরের সদস্য মনে করা উচিত।
(৪) সকাল হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা হলে সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশা করা যায় না।
(২) পথিক যেমন গাছের ছায়ায় আরামের জন্য অল্প সময় বসে মানুষের জীবন তেমন।
(৩) প্রত্যেককে কবরের সদস্য মনে করা উচিত।
(৪) সকাল হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা হলে সকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকার আশা করা যায় না।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
“ আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সবকিছুই ধ্বংস হবে। চূড়ান্ত সিন্ধান্ত তাঁর হাতেই থাকবে এবং তাঁর নিকটেই ফিরে যেতে হবে”।
( সূরা, ক্বাছাছঃ ৮৮) উল্লিখিত আয়াত হতে বুঝা যায় যে, আল্লাহ ব্যতীত সব
কিছুই ধ্বংসশীল। আল্লাহ ব্যতীত পৃথিবীর কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়।
আল্লাহ তা’আলা অপর এক আয়াতে বলেন,
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ [٥٥:٢٦]وَيَبْقَىٰ وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ [٥٥:٢٧]
كُلُّ مَنْ عَلَيْهَا فَانٍ [٥٥:٢٦]وَيَبْقَىٰ وَجْهُ رَبِّكَ ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ [٥٥:٢٧]
“ পৃথিবীর সব কিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। একমাত্র আপনার মিহিমান্বিত প্রতিপালক ছাড়া”।
(রাহমান ২৬-৩৭) আয়াতের অর্থ এই যে, ভূপৃষ্ঠে যত পরাক্রমশালী রাজা বাদশাহ,
জিন মানব রয়েছে সব কিছুই ধ্বংসশীল। সবার মরণ একদিন আসবেই। একমাত্র আল্লাহ
ব্যতীত পৃথিবীর কোন কিছুই চিরস্থায়ী থাকার যোগ্যতা রাখে না।
আল্লাহ তা’আলা অন্য এক আয়াতে বলেন,
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ
أَيْنَمَا تَكُونُوا يُدْرِككُّمُ الْمَوْتُ وَلَوْ كُنتُمْ فِي بُرُوجٍ مُّشَيَّدَةٍ
“ মরণ তোমাদেরকে ধরবেই, যদিও তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভিতর অবস্থান কর না কেন”। ( নিসা ৭৮) এ থেকে বুঝা যায়, মানুষ মরণের ভয়ে যত মযবুত প্রসাদে থাকুক না কেন, মরণ তাকে গ্রাস করবেই।
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন,
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ
“আপনি বুলন, তোমরা যে মরণ থেকে পলায়ন করতে
চাও, সেই মরণ তোমাদের মুখামুখি হবেই”। (জুম’আঃ ৮) উক্ত আয়াত দ্বরা বুঝা
যায় যে, মরণ অবশ্যই আসবে আজ নয়তো কাল। সুতরাং মরণ থেকে পলায়ন করার সাধ্য
কারো নেই। এ ব্যাপারে হাদীছে এসেছে
“ ইবনে
আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী করিম (ছাঃ) বলেছেন, আপনার উচ্চ মর্যাদার মাধ্যমে
আমি আশ্রয় চাই। আপনি ব্যতীত কোন সত্তা নেই। আপনি এমন সত্তা যার মরণ নেই অথচ
জিন মানুষের মরণ রয়েছে”। (বুখারী, ২/১০৯৮ পৃঃ তাওহীদ অধ্যায়)। অত্র
হাদীচ দ্বারা প্রমানিত হয় যে, জিন ও মানুষের মরণ হবেই। মরণের কোন বিকল্প
নেই। মরণের নির্ধারিত সময় রয়েছে। মানুষের মরণ নির্ধারিত সময়ের আগে-পিছে হবে
না। স্বভাবিক মরণ অথবা নিহত হওয়া অথবা ডুবে যাওয়া অথবা যানবাহন র্দূঘটনায়
মারা যাওয়া অথবা পুড়ে মারা যাওয়া কিংবা কোন প্রাণী খেয়ে ফেলা, এক কথায়
যেভাবেই মরণ ঘটুক না কেন: তা পূর্ব হতেই নির্ধারিত। যেখানে যেভাবে নির্ধারণ
করা হয়েছে সেখানে সেভাবেই ঘটবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۚ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ [١٠:٤٩]
لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۚ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ [١٠:٤٩]
“ প্রত্যেক
সম্প্রদায়ের মরণের একটি নির্ধারিত সময় রয়েছে, যখন তাদের নির্ধারিত সময় এসে
যাবে, তখন তারা এক মূহুর্ত পিছেও যেতে পারবে না আগেও যেতে পারবে না”। (ইউনুসঃ ৪৯)
আল্লাহ তাআলা অন্যত্র বলেন,
وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُّؤَجَّلًا ۗ
وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَن تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُّؤَجَّلًا ۗ
“ আল্লাহর আদেশ ছাড়া কেউ স্বেচ্ছায় মরতে পারে না। মরণের জন্য একটি নির্ধারিত সময় রয়েছে (যা আগে পিছে হয় না)”।
(আলে ইমরানঃ ১৪৫) প্রত্যেক মানুষের মরণ আল্লাহ তাআলার কাছে মরণের দিন,
তারিখ, সময়, স্থান ও পদ্ধতি লিপিবদ্ধ রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ও পরে
কারও মৃত্য হবে না।
এমতাবস্থায় মরণের ব্যাপারে কারও হতবুদ্ধি
হয়ে পড়ার কোন অর্থ নেই সূরা ইউনুস ৪৯, হিজর ৫, মুমিনুন ৪৩, মুনাফিকূন ১১ ও
নাহল ৬১ নং আয়াতে অনুরুপ আলোচনা রয়েছে।
“ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, নবী
করীম (ছাঃ) এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা তার প্রার্থনায় বললেন, হে আল্লাহ! তুমি
আমাকে আমার স্বমী আল্লাহর রাসূল, আর আমার পিতা আবু সুফিয়ান ও আমার ভাই
মুয়াবিয়ার সাথে বেঁচে থাকার ও সুখ ভোগ করার সুযোগ দান কর। আব্দুল্লাহ ইবনে
মাসউদ (রাঃ) বলেন, তখন নবী করিম (রাঃ) বললেন, তুমি আল্লাহর নিকট নির্ধারিত
সময় নির্ধারিত দিন ও নির্ধারিত রুযির বৃদ্ধি চাইলে, অথচ নির্ধারিত রুযি দিন
ও সময়ের এক মুহুর্ত পরে ও আল্লাহ কোন কিছু ঘটাবেন না। তুমি যদি আল্লাহর
নিকট জাহান্নামের শাস্তি এবং কবরের শাস্তি হতে পরিত্রান চাইতে তাহলে তোমার
জন্য উত্তম হত”। (মুসলিমঃ ২/৩৩৮পৃঃ)। অত্র হাদীছে বলা হয়েছে যে, মানুষের
বেচে থাকর নির্ধারিত যে সময় রয়েছে তার এক মুহুর্ত আগ পিছে হবে না। যেকোন
মুহুর্তে মরণ ঘটতে পারে, কাজেই জীবনের আশা ভরসা ত্যাগ করে, সর্বদা আল্লাহর
নিকট কবর ও জাহান্নামের শাস্তি হতে পরিত্রাণ চাওয়া উচিত।