হাড়ের ক্ষয়জনিত বাত রোগের ডাক্তারি পরিভাষায় নাম অস্টিওপরোসিস।
ক্যালসিয়াম শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হাড় ও দাঁত গঠনের কাজে
ক্যালসিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজন, হাড়ের বোন প্রোটিন দিয়ে ম্যাট্রিক্স তৈরি হয়,
আর তার ওপরে ক্যালসিয়াম ফসফেটের প্রলেপ পড়ে হাড় শক্ত হয়। ক্যালসিয়াম আমরা
পাই খাবার থেকে। পরে তা হাড়ে জমা হয়। অল্প বয়সে হাড়ে ক্যালসিয়াম জমার
ব্যাপারটা খুব দ্রুত হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিপোজিশন কমতে থাকে। সে
জন্য হাড় মজবুত রাখতে সব সময়ই নিয়ম করে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া
প্রয়োজন।
১৬ বছর বয়সী কিশোরীদের দেহে প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম জমা হয়। অথচ একই বয়সের কিশোরের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি পুরো দ্বিগুণ। অর্থাৎ প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম জমা হয়। সুতরাং ছেলেদের হাড় মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি শক্ত। আর হাড়ের ক্ষয়জনিত বাতের ব্যথা মেয়েদেরই বেশি হয়। এ জন্য বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবিকভাবে দেখা যায়, ৬০০ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হয় না। সে জন্যই হয়তো অস্টিওপরোসিসের প্রবণতা বাড়ছে।
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় টাটকা মাছ, দুধ, ফল ও শাকসবজি থাকা প্রয়োজন। অথচ বর্তমানে আমরা ফাস্টফুড ও বোনলেস বা হাড়ছাড়া মাছ-গোশত খেতে পছন্দ করি। এ ছাড়া ধূমপান, মদ্যপান, বাড়তি ওজন, দৈহিক পরিশ্রম না করা এগুলোর জন্যই অস্টিওপরোসিস হয়। ভিটামিন-ডি৬-এর অভাব এবং মেনোপজের পরে হরমোনের তারতম্য ঘটে। এ সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস দুধ। দুধে রয়েছে ল্যাকটোজ ও লাইসিন। এগুলো ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। দুধ খেতে সমস্যা হলে দুগ্ধজাত যেকোনো খাবার, যেমন—দই, ছানা খাওয়া যেতে পারে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, আপেল, আমলকী, খেজুর, টমেটো—এগুলোতে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। তবে শুধু ক্যালসিয়াম খেলেই হবে না। ঠিকভাবে শারীরিক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করেও হাড় মজবুত রাখতে হবে। রুখতে হবে অস্টিওপরোসিসকে। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নারীরা যদি হরমোন রিপ্লেসমেন্ট করান, তবে অস্টিওপরোসিসের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের চেয়ে খাবার থেকে পাওয়া ক্যালসিয়ামের পুষ্টিমূল্য অনেক বেশি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এবং নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন না।
১৬ বছর বয়সী কিশোরীদের দেহে প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম জমা হয়। অথচ একই বয়সের কিশোরের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি পুরো দ্বিগুণ। অর্থাৎ প্রতিদিন ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম জমা হয়। সুতরাং ছেলেদের হাড় মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশি শক্ত। আর হাড়ের ক্ষয়জনিত বাতের ব্যথা মেয়েদেরই বেশি হয়। এ জন্য বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবিকভাবে দেখা যায়, ৬০০ মিলিগ্রামের বেশি গ্রহণ করা হয় না। সে জন্যই হয়তো অস্টিওপরোসিসের প্রবণতা বাড়ছে।
নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় টাটকা মাছ, দুধ, ফল ও শাকসবজি থাকা প্রয়োজন। অথচ বর্তমানে আমরা ফাস্টফুড ও বোনলেস বা হাড়ছাড়া মাছ-গোশত খেতে পছন্দ করি। এ ছাড়া ধূমপান, মদ্যপান, বাড়তি ওজন, দৈহিক পরিশ্রম না করা এগুলোর জন্যই অস্টিওপরোসিস হয়। ভিটামিন-ডি৬-এর অভাব এবং মেনোপজের পরে হরমোনের তারতম্য ঘটে। এ সময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে ভালো উৎস দুধ। দুধে রয়েছে ল্যাকটোজ ও লাইসিন। এগুলো ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। দুধ খেতে সমস্যা হলে দুগ্ধজাত যেকোনো খাবার, যেমন—দই, ছানা খাওয়া যেতে পারে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, আপেল, আমলকী, খেজুর, টমেটো—এগুলোতে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। তবে শুধু ক্যালসিয়াম খেলেই হবে না। ঠিকভাবে শারীরিক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করেও হাড় মজবুত রাখতে হবে। রুখতে হবে অস্টিওপরোসিসকে। এ ছাড়া দীর্ঘমেয়াদি ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নারীরা যদি হরমোন রিপ্লেসমেন্ট করান, তবে অস্টিওপরোসিসের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। ক্যালসিয়াম ট্যাবলেটের চেয়ে খাবার থেকে পাওয়া ক্যালসিয়ামের পুষ্টিমূল্য অনেক বেশি। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এবং নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবেন না।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, অর্থোপেডিকস ও ট্রমাটোলজি বিভাগ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল