সংকলন : ড. মুহাম্মদ আলি আল-হাশিমি
অনুবাদ : সরল পথ
যারা পরস্পরকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তায়ালার জন্যে ভালোবাসে তাদের মর্যাদা অনেক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। জান্নাতে
তাদের উচ্চ সম্মানিত স্থানের কথা ওয়াদা করা হয়েছে এবং যেদিন সমগ্র মানব
জাতিকে তাদের রবের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে বিচারের জন্যে, সেদিন আল্লাহ
তায়ালা যে সম্মান তাদেরকে দান করবেন তাও বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ৭
শ্রেণীর লোকদের মহান আল্লাহ সেদিন তাঁর সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিবেন, যেদিন
তাঁর ছাড়া অন্য কোন ছায়াই থাকবে না। তাঁরা হলেনঃ
১ ন্যায়বিচারক শাসক বা নেতা
২ মহান আল্লাহর ইবাদতে মশগুল যুবক
৩ মসজিদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হৃদয়ের অধিকারী
৪ যে দুজন লোক একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পরস্পর বন্ধুত্ব করে এবং এ জন্যেই আবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়
৫ এরূপ ব্যক্তি যাকে কোন অভিজাত পরিবারের সুন্দরী নারী খারাপ কাজে আহবান করেছে, কিন্তু সে বলে দিল, আমি আল্লাহকে ভয় করি
৬ যে ব্যক্তি এতো গোপনভাবে দান-খয়রাত করে যে, তার ডান হাত কি দান করলো, বাঁ হাতেও তা জানতে পারলো না
৭ এরূপ ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহর যিকির করে এবং দু’চোখের পানি ফেলে (কাঁদে)।
[বুখারী ও মুসলিম]
যে দুজন পরস্পরকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসে
তাদের জন্যে স্পষ্টভাবে সুসংবাদ জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে, তারা আল্লাহর আরশের
ছায়াতলে আশ্রয় লাভ করবে এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদের উপর তাঁর
অসীম রহমত ও করুণা বর্ষিত করবেন। কত বিরাট এই সম্মান ! এই সম্মানই তো
যথেষ্ট যে, যারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসে তাদেরকে শেষ বিচারের দিন
ডাকা হবে এবং বলা হবে ; “কোথায় তারা যারা একে অপরকে আমার সম্মানে
ভালোবেসেছো ? আজ তাদেরকে আমি আমার ছায়াতলে আশ্রয় দান করব যখন আমার (আরশের)
ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নেই” (মুসলিম) এরকম সুমহান মর্যাদা ও সমুন্নত
সম্মান তাদের যোগ্য প্রাপ্য যারা কিনা আল্লাহর জন্যেই পরস্পরকে ভালোবাসে।
এই পৃথিবী যা কিনা লোভ, লালসা এবং
স্বার্থপরতায় পরিপূর্ণ; সেখানে বসবাস করে কাউকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যে
ভালোবাসা, অন্য কোন কিছুর জন্যে নয় ; তা বেশ কঠিন নয় কি? পবিত্র ও বিশুদ্ধ
হৃদয়ের অধিকারী ব্যতীত অন্য কেউ এই ভালোবাসা অর্জন করতে পারে না, যারা
পরস্পরকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসে তাদের নিকট এই দুনিয়ার জীবন আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম ব্যতীত আর কিছুই নয়। তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই
যে, আল্লাহ তাদেরকে সম্মান ও মর্যাদা দান করবেন অন্যদের উপরে যারা দুনিয়ার
ভালোবাসায় ডুবে রয়েছে। আমরা এর প্রমাণ পাই হযরত মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু
কর্তৃক বর্ণিত এই হাদীসটিতে যেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন; “আল্লাহ (সুবাহানাহু ওয়া তায়ালা ) বলেন; ‘যারা আমার
সম্মানে পরস্পরকে ভালোবাসে, তারা নূরের মিম্বার লাভ করবে, এবং নবীগণ ও
শহীদগণও অনুরূপ ইচ্ছা করবেন” [তিরমিযি কর্তৃক হাসান সহীহ হাদীস]
যারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসে
তাদেরকে সুমহান আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন তাঁর রহমত ও করুণার পাশাপাশি আরো
একটি দুর্লভ অনুগ্রহ দান করবেন, যা কিনা অর্জন করা খুবই কঠিন। আর তা হল
মহান প্রতিপালকের নিজের পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি ভালোবাসা ! হযরত আবু
হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন, “একটি লোক অপর একটি গ্রামে তার ভাইকে দেখতে গেল। আল্লাহ
তায়ালা একজন ফেরেশতাকে পাঠিয়ে দিলেন। তিনি লোকটির জন্যে রাস্তায় অপেক্ষা
করতে থাকলেন। যখন লোকটি আসল, তখন ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কোথায়
যেতে মনস্থির করেছ?’ লোকটি বলল, ‘আমি আমার এক ভাইকে দেখতে যাচ্ছি যে এই
গ্রামে থাকে’। ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ তুমি কি তার প্রতি কোন
অনুগ্রহ করেছ(যার কারণে তুমি প্রতিদান আশা কর)?’ । সে বলল, ‘না। আমি
কেবলমাত্র আল্লাহর জন্যেই তাকে ভালোবাসি।’ ফেরেশতা তাকে বললেন, ‘আমি
আল্লাহর পক্ষ হতে তোমার নিকট প্রেরিত একজন দূত, তিনি (আল্লাহ) তোমাকে
ভালোবাসেন যেরকম তুমি তোমার ভাইকে তাঁর জন্যে ভালোবাসো, আমি তোমাকে এটা
বলার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।” (মুসলিম)
কত অসাধারণ এই ভালোবাসা ! যা একজন মানুষকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যায় যখন স্বয়ং আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন এবং তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন !
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের শিক্ষা হতে জানা যায় যে, দুই ব্যক্তির মধ্যে সে উত্তম যে অপরকে
আল্লাহর জন্যে বেশি ভালোবাসে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন, “এমন কোন দুই ব্যক্তি নেই, যে কিনা তার ভাইয়ের প্রতি অধিক ভালোবাসা পোষণ করে অথচ সে অপরজন অপেক্ষা উত্তম নয় “। [বুখারী, আদাব-আল-মুফরাদ]
ইসলামের শিক্ষা ভালোবাসা ছড়াতে সাহায্য
করে, একটি সুস্থ সমাজ গঠনে সহায়তা করে। কেউ যদি তার মুসলিম ভাইকে ভালোবাসে
তার উচিত তাকে জানিয়ে দেয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন; “যদি কোন ব্যক্তি তার ভাইকে ভালোবাসে, তাকে বলতে দাও যে সে তাকে ভালোবাসে”। [আবু দাউদ ও তিরমিযি একে সহীহ বলেছেন]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম এই পবিত্র, নির্মল ভালোবাসার গুরুত্ব বুঝেছিলেন। সমাজ ও জাতি গঠনে
এবং পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে তা সহায়ক। তাই তিনি এমন কোন পরিস্থিতি
এড়িয়ে যাননি যখন একজন মুসলিম অপর আরেকজন মুসলিমের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ
করতে পারে। হৃদয়ের পংকিলতা দূর করতে এবং মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বন্ধন দৃঢ়
করতে এই পবিত্রতা ছড়িয়ে দেয়া উচিত সকল হৃদয়ে।
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে একজন লোক অবস্থান
করছিলেন, এমতাবস্থায় অন্য এক ব্যক্তি সেদিক দিয়ে যাচ্ছিল। প্রথম ব্যক্তি
বললেন, “ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি এই লোকটিকে সত্যিই ভালোবাসি।” রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তুমি কি তাকে তা
জানিয়েছো?” লোকটি বলল, না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাকে বললেন, “তাকে বল”। প্রথম লোকটি তাকে দৌড়ে ধরে ফেলল এবং বলল, “সত্যিই
আমি তোমাকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসি”। লোকটি উত্তর করল, ” আল্লাহও তোমাকে
ভালোবাসুন যে আমাকে তাঁর জন্যে ভালোবাসে”। [আবু দাউদ, সহীহ]
হযরত মুয়ায রাদিয়াল্লাহু আনহু এই পবিত্র
ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতেন মুসলিমদের মাঝে, এবং তিনি সেই বিরাট পুরষ্কার
সম্পর্কে তাদেরকে বলতেন যা আল্লাহ তায়ালা প্রস্তুত করে রেখেছেন যারা
আল্লাহর জন্যে পরস্পরকে ভালোবাসে, যারা আল্লাহর জন্যে পরস্পরকে ভালোবাসে
তাদেরকে আল্লাহও ভালোবাসেন।
ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ তাঁর আল-মুয়াত্তায় একটি সহীহ ইসনাদ বর্ণনা করেছেন, আবু ইদরিস আল-খুলানি থেকে। তিনি বলেন, “আমি দামেস্কের মসজিদে প্রবেশ করলাম, সেখানে আমি অল্প বয়স্ক একজন লোককে দেখলাম যার হাসি ছিল ঝলমলে উজ্জ্বল, এবং আমি লোকদের দেখলাম তাকে কেন্দ্র করে ভিড় করতে। যখন কোন একটি বিষয়ে তাদের মতানৈক্য হল, তারা যুবক লোকটির কাছে সে বিষয়টি উপস্থাপন করল এবং তার মতামত মেনে নিল। আমি জানতে চাইলাম, এই লোকটি কে ছিল , তারা আমাকে বলল, ‘ইনি মুয়ায ইবন যাবাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু)’। পরদিন খুব সকাল সকাল আমি মসজিদে গিয়ে হাজির হলাম কিন্তু গিয়ে দেখলাম তিনি তারও আগে সেখানে উপস্থিত। তিনি নামাযরত ছিলেন, তাই আমি শেষ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম, এরপর আমি তার কাছে গেলাম, হাসি বিনিময় করলাম এবং বললাম, “আল্লাহর জন্যে আমি আপনাকে ভালোবাসি”। তিনি জানতে চাইলেন, “আল্লাহর জন্যে?” আমি বললাম, “আল্লাহর জন্যে”। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন, “আল্লাহর জন্যে”? এবং আমি বললাম, “আল্লাহর জন্যে”। একারণে তিনি আমাকে আমার জামা ধরে টেনে তার কাছে নিলেন এবং বললেন, “তোমার জন্যে সুসংবাদ । আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, “আল্লাহ সর্বশক্তিমান বলেনঃ ‘আমার ভালোবাসা তাদের জন্য বরাদ্দকৃত যারা একে অপরকে ভালোবাসে আমার জন্যে, যারা একে অপরকে দেখতে যায় আমার জন্যে এবং যারা একে অন্যের প্রতি খরচ করে আমার জন্যে”।
সংকলন : ড. মুহাম্মদ আলি আল-হাশিমি
অনুবাদ : সরল পথ
(সমাপ্ত)
অনুবাদ : সরল পথ
(সমাপ্ত)
—————————-
হযরত ইমাম গাযযালী রাহিমাহুল্লাহ কর্তৃক রচিত ‘এহইয়া উলুম উদ-দীন’ গ্রন্থ হতে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসা বিষয়ে নির্বাচিত দশটি উক্তি :
১- হযরত উমার বিন আল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু
আনহু বলেন, “যদি তোমাদের কেউ অন্য কোনো ভাইয়ের প্রিয়ভাজন হয়ে থাকো, তার
উচিত শক্তভাবে এই সদ্ভাব বজায় রাখা, কারণ এটি সত্যিই দুর্লভ একটি
আশীর্বাদ”।
২- উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বলেন, ” ইসলামের হেদায়াত লাভের পর সৎ বন্ধুর চেয়ে উত্তম কোন কিছু কাউকে দেয়া হয়নি”।
৩- হযরত আলি ইবন আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু
আনহু বলেন, ‘তোমার ভাইয়ের প্রতি সদয় হও, কারণ তারা দুনিয়া ও আখেরাতে তোমার
সহায়ক। তোমরা কি জাহান্নামের বাসিন্দাদের চিৎকার শোন না? : “আজ আমাদের
জন্যে কেউই রইল না, না আছে কোনো সুহৃদ বন্ধু (যে আল্লাহ তায়ালার কাছে
সুপারিশ করতে পারে) ! [সূরা আশ শোয়ারা : ১০০-১০১]’
৪- আবদুল্লাহ বিন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, “আল্লাহর শপথ, যদি আমি সারাদিন না খেয়ে সিয়াম পালন করি, সারা রাত না
ঘুমিয়ে সালাত আদায় করি, আমার সমুদয় ধন-সম্পত্তি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করি;
এরপর আমি মারা যাই কিন্তু আমার অন্তরে যদি তাদের প্রতি কোনো ভালোবাসা না
থাকে যারা আল্লাহর অনুগত এবং যারা আল্লাহর অবাধ্য তাদের প্রতি যদি কোন ঘৃণা
না থাকে; আমার এই সকল ইবাদত কোনোই কাজে আসবে না”।
৫- আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু
আনহু বলেন, “যদি কোন ব্যক্তি একটানা সত্তর বছর পর্যন্ত মাকামে
ইবরাহীমে(কা’বা) দাঁড়িয়ে থেকেও আল্লাহর ইবাদত করে, তবুও সে তাদেরই সাথে
হাশরের ময়দানে উঠবে যাদেরকে সে ভালোবেসেছে”।
৬- ইবন আল সামাক তাঁর মৃত্যুশয্যায় থেকে
বলেন, “ও আল্লাহ ! তুমি তো জানো, যদিও আমি তোমার অবাধ্যতা করেছি, তবুও আমি
তাদেরকে ভালোবাসতাম যারা তোমার আনুগত্য করেছে। তাই, আমার এই ভালোবাসাকে
তোমার নৈকট্য লাভের মাধ্যম বানিয়ে দাও !”
৭- মুজাহিদ বলেন, “যারা
পরস্পরকে আল্লাহর জন্যে ভালোবাসে, যখন তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসি
বিনিময় করে; তাদের গুনাহগুলো এমনভাবে ঝরে পরে যেভাবে শীতকালে গাছের
পাতাগুলো ঝরে পরে”।
৮- “ঈমানের দৃঢ়তম বন্ধন হল আল্লাহর জন্যে ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যে ঘৃণা করা”।
আল-গাযযালী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এই হাদীসের মন্তব্যে বলেন, “একারণে,
এটা অত্যাবশ্যকীয় যে, একজন মানুষ যাদেরকে ঘৃণা করবে তাদেরকে আল্লাহর
জন্যেই ঘৃণা করবে, এবং ভাই-বন্ধুদের মধ্যে যাদেরকে ভালোবাসবে, তাদেরকে
আল্লাহর জন্যেই ভালোবাসবে”।
৯- আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “বান্দাকে
যখন শেষ বিচারের দিনে মহান আল্লাহর সামনে এনে হাজির করা হবে, আল্লাহ
তায়ালা তাকে বলবেন, ‘তুমি কি আমার কোন বন্ধু (আউলিয়া) কে ভালোবাসতে, যাতে
আমি তার সাথে তোমাকে একত্রিত করতে পারি?”
১০- হাসান আল বসরী বলেন, “কোনো ফাসিকের বিরুদ্ধে কঠোরতা তোমাকে মহান আল্লাহর নৈকট্য দান করবে”।