শুক্রবার বিকালে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “রাত ৮টার মধ্যে তাদের সরিয়ে নিতে সারাদেশে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১৮ জেলার সাড়ে ২১ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হবে।”
জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান সচিব।
শাহ কামাল বলেন, “সারাদেশে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলে তারা সেটা তদারকি করছেন। শুক্রবার দুপুর থেকেই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গা আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “উপকূলীয় এলাকা নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা এবং বন্দর এলাকায় জাহাজ নিরাপদে সরিয়ে আনতে বলেছি।”
এবার ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের সূচনা থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার কারণে ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন শাহ কামাল।
“গত বছরের জুলাইয়ে ঘুর্ণিঝড় কোমেনের সময় পূর্বপ্রস্তুতির দরুণ ক্ষতি মোকাবেলা করতে পেরেছিলাম।”
>> ৮টার মধ্যে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার মানুষজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা
>> ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ১৮ জেলার সাড়ে ২১ লাখ মানুষ
>> ১৮টি জেলার ৩৮৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে মানুষজনকে
>> ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে ৫৫ হাজার
>> মাঠে থাকবেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, রোভার স্কাউট ও আনসার ভিডিপি সদস্যরাও
তিনি বলেন, “আমাদের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশ্লেষণ অনুযায়ী ঘুর্ণিঝড় শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।”
সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।