এটা হল মূলত সেন্সর আর মেশিনের সমন্বয়। গত কয়েক দশক ধরে তথ্য প্রযুক্তির যেই গতিতে উন্নতি হচ্ছে এবং মূলত নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে যে অভাবনীয় পরিবর্তন এসেছে, তাতে একটা কথা বলাই যায় যে, ভবিষ্যৎ পৃথিবীর মূলমন্ত্র হতে যাচ্ছে যে, "Things that can be connected, will be connected."
আশা করি, কেউ বসে বসে এমন চিন্তা করছেন না যে, এই সব ইন্টারনেট অফ থিংসের আবার কী দরকার? ভবিষ্যৎ পৃথিবীর- সত্যিকথা বলতে বর্তমান পৃথিবীরই একটা অন্যতম চাহিদা হয়ে গেছে এই ইন্টারনেট অফ থিংস। আর গত কয়েক দশকের উন্নতির পথ ধরে প্রযুক্তি এখন যেই অবস্থায় এসে পৌঁছেছে তাতে ইন্টারনেট অফ থিংস অ্যাভেইলেবল না হলেও অতটা রেয়ারও না। আর মানুষের কল্পনায় তো পুরপুরিই স্থান করে নিয়েছে এই ইন্টারনেট অফ থিংস। এমন কি নন টেকনিক্যাল লোকেরাও এখন স্বপ্ন দেখে ইন্টারনেট অফ থিংসের। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কীভাবে। মনে করুন, আপনার এলার্ম ঘড়িটা সকাল ছয়টার আপনার ঘুম ভাঙ্গানোর পাশাপাশি আপনার কফি মেকারকেও আপনার জন্য এক কাপ কফি তৈরি করতে বলে দিবে, এটা একজন নন টেকনিক্যাল লোকেরও চিন্তার জগতে স্থান পেয়েছে এখন। অথবা আপনার কার বাসার ২০ মিটারের মধ্যে আসার পর আপনার বাসার কলিং বেলকে তার উপস্থিতি জানিয়ে দিবে আর আপনার বাসার কলিং বেলটা নিজের থেকেই বেজে উঠবে, এমন কিছুর একজন নন টেকনিক্যাল লোকও অপেক্ষা করছেন এবং অদূর ভবিষ্যতেই যে এমন সিস্টেমের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন-সেই ব্যাপারে যে তিনি নিশ্চিত এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়।