মুক্তির একমাসও না গড়াতেই পাইরেসির
কবলে পড়েছে আরিফিন শুভ ও মারজান জেনিফা অভিনীত ‘মুসাফির’। সিনেমাটির
প্রযোজক জোবায়ের আলম এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ
নেওয়ার।
এর পরপরই এই ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জোবায়ের। তার অভিযোগ দিনাজপুরের অবসর সিনেমা হল থেকে ঘটেছে পাইরেসির এই ঘটনা।
এব্যাপারে গ্লিটজকে তিনি বলেন, “দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকার অবসর সিনেমা হল থেকে ‘মুসাফির’ সিনেমাটি পাইরেটেড হয়েছে। সিনেমার প্রিন্টে স্পষ্টভাবে অবসর সিনেমা হলের নাম দেখেই আমরা বুঝতে পেরেছি কোন এলাকার সিনেমাহল থেকে পাইরেসির ঘটনাটি ঘটেছে। তারপরে বিষয়টি নিয়ে আমার আইনজীবির সাথে পরামর্শ করে বুধবার অবসর সিনেমা হলের মালিক নজরুল ইসলামকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এখন তার জবারের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। পরবর্তীতে অবস্থা বুঝে ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরনের মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
২২ এপ্রিল সারাদেশে মুক্তি পেয়েছে আরিফিন শুভ ও মারজান জেনিফা অভিনীত ‘মুসাফির’ সিনেমাটি। মুক্তির পরেই পাইরেসির কবলে পড়ে সিনেমাটি। রবিবার ‘মুসাফির’ সিনেমার পাইরেসির বিষয়টি সিনেমার প্রযোজকের নজরে পড়লে তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পাইরেসির কারণেই দেশের সিনেমাশিল্প ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে, ক্ষোভ প্রকাশ করেন জোবায়ের। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যারা বাংলা সিনেমাগুলোকে পাইরেসি করে তাদের সাইটে আপলোড করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্লিক থেকে টাকা আয় করা। এসব সিনেমা দেখার সময় ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে অনেকগুলো সাইটের লিংক ও বিজ্ঞাপন চলে আসে। যেগুলোতে ভিজিটররা ক্লিক করলে প্রতি ক্লিক থেকে সাইটের মালিকরা টাকা পায়। মূলত সামান্য কিছু টাকার জন্যই ওরা আমাদের সিনেমার শিল্পের এমন ক্ষতি করছে।”
জোবায়ের বলেন, “ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কানাডা, মালয়শিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বেশ কয়েকটি দেশে ‘মুসাফির’ সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। এছাড়াও সারাদেশের সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিকল্প প্রদশর্নীতে যাওয়ার পরিকল্পনাও আমার চূড়ান্ত ছিলো। কিন্তু এই পাইরেসির কারনে অন্তত অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি আমার হয়ে গেলো।”