২০১৩ সালের শেষের দিকে আয়শূন্য স্ন্যাপচ্যাট কিনতে ৩০০ কোটি ডলার সেধেছিল
ফেসবুক। মার্ক জাকারবার্গের দেওয়া সে সুযোগ হেলায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন
স্ন্যাপচ্যাটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইভান স্পাইজেল। বলেছিলেন,
‘পৃথিবীতে খুব কম মানুষ আছে যে এমন এক প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারে।
ক্ষণস্থায়ী লাভের জন্য আমি তা হারাতে চাই না।’ কে জানে হয়তো তখন থেকেই
স্ন্যাপচ্যাটের ওপর মার্ক জাকারবার্গের মনে কোথাও একটা ক্ষোভ আছে। নিজ নিজ
প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুই প্রধান নির্বাহীর লড়াইটা বেশ জমে উঠেছিল। সে
লড়াইয়ের সর্বশেষ কিস্তি ‘ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজ’ দিয়ে কিস্তিমাত করার চেষ্টা
করেছেন জাকারবার্গ।
কোনো লড়াইয়ে জিততে হলে কৌশলটাই মূল। মার্ক জাকারবার্গ তা ভালোই জানেন। ফেসবুকে হয়তো মাসে ১৭০ কোটি ব্যবহারকারী ঢুঁ মারতে পারে, তবে তরুণদের আগ্রহ হয় স্ন্যাপচ্যাটে, না হয় ইনস্টাগ্রামে। ফেসবুকের চোখ রাঙানি তাই হেলায় উড়িয়ে দিলেও ইনস্টাগ্রামকে ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে ইভান স্পাইজেলের। কেননা, ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যানে স্ন্যাপচ্যাটের তুলনায় ইনস্টাগ্রাম দ্বিগুণ। তাই স্ন্যাপচ্যাটের সুবিধা নকল করে ইনস্টাগ্রামে যোগ করলে মানুষ হয়তো দু-এক দিন উচ্চবাচ্য করবে, তারপর ভুলে গিয়ে তা ব্যবহারে মনোযোগী হবে। আর শেষ হাসিটা হাসবেন মার্ক জাকারবার্গ।
দুটি অ্যাপই আলাদা। প্রতিদিনের ঘটনার মজার উপস্থাপনার জন্য স্ন্যাপচ্যাট আর সুন্দর আলোকচিত্রের জন্য ইনস্টাগ্রাম। দুটি অ্যাপের অভিজ্ঞতা ভিন্ন, উদ্দেশ্য ভিন্ন। তবে স্ন্যাপচ্যাটের নকল করে ইনস্টাগ্রাম আসলে সব ধরনের ব্যবহারকারী টানার চেষ্টা করছে। এতে ব্যবহারকারীরা গুলিয়ে ফেলছে কেন তারা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করবে—চমৎকার সব ছবির জন্য নাকি মিম দেখার জন্য। দুটো স্ন্যাপচ্যাটের দরকার কী! গুগল প্লাস দিয়ে আরেকটা ফেসবুক বানাতে চেয়েছিল গুগল, ব্যবহারকারীরা কিন্তু তা গ্রহণ করেনি।
ফেসবুককে নকলবাজ বলার কারণ, শুধু এবার না আগেও স্ন্যাপচ্যাটকে নকল করার চেষ্টা করেছে ফেসবুক। স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্লিংশট এবং পোক নামের আলাদা অ্যাপ প্রকাশ করেছিল ফেসবুক, ব্যর্থ যে হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন বলা হচ্ছে ফেসবুকের পরবর্তী বিবর্তন হবে ব্যবহারকারীর ক্যামেরা ঘিরে। সে তো সব সময়ই ছিল। এবার সরাসরি ফেসবুকে। ফেসবুকের ক্যামেরা চালু করলে প্রথমে আপনার চেহারা শনাক্ত করে তাতে মজার কিছু ছবি বা আবহ যোগ করার সুবিধা পাওয়া যাবে। হয়তো ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় গালে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে দিল, কিংবা মাথায় সার্কাসের টুপি বসিয়ে দিল। শুনতে মজার হলেও সেও তো ওই স্ন্যাপচ্যাট থেকেই নকল করা।
মেহেদী হাসান, সূত্র: ম্যাশেবল, টেকক্রাঞ্চ
কোনো লড়াইয়ে জিততে হলে কৌশলটাই মূল। মার্ক জাকারবার্গ তা ভালোই জানেন। ফেসবুকে হয়তো মাসে ১৭০ কোটি ব্যবহারকারী ঢুঁ মারতে পারে, তবে তরুণদের আগ্রহ হয় স্ন্যাপচ্যাটে, না হয় ইনস্টাগ্রামে। ফেসবুকের চোখ রাঙানি তাই হেলায় উড়িয়ে দিলেও ইনস্টাগ্রামকে ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে ইভান স্পাইজেলের। কেননা, ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যানে স্ন্যাপচ্যাটের তুলনায় ইনস্টাগ্রাম দ্বিগুণ। তাই স্ন্যাপচ্যাটের সুবিধা নকল করে ইনস্টাগ্রামে যোগ করলে মানুষ হয়তো দু-এক দিন উচ্চবাচ্য করবে, তারপর ভুলে গিয়ে তা ব্যবহারে মনোযোগী হবে। আর শেষ হাসিটা হাসবেন মার্ক জাকারবার্গ।
দুটি অ্যাপই আলাদা। প্রতিদিনের ঘটনার মজার উপস্থাপনার জন্য স্ন্যাপচ্যাট আর সুন্দর আলোকচিত্রের জন্য ইনস্টাগ্রাম। দুটি অ্যাপের অভিজ্ঞতা ভিন্ন, উদ্দেশ্য ভিন্ন। তবে স্ন্যাপচ্যাটের নকল করে ইনস্টাগ্রাম আসলে সব ধরনের ব্যবহারকারী টানার চেষ্টা করছে। এতে ব্যবহারকারীরা গুলিয়ে ফেলছে কেন তারা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করবে—চমৎকার সব ছবির জন্য নাকি মিম দেখার জন্য। দুটো স্ন্যাপচ্যাটের দরকার কী! গুগল প্লাস দিয়ে আরেকটা ফেসবুক বানাতে চেয়েছিল গুগল, ব্যবহারকারীরা কিন্তু তা গ্রহণ করেনি।
ফেসবুককে নকলবাজ বলার কারণ, শুধু এবার না আগেও স্ন্যাপচ্যাটকে নকল করার চেষ্টা করেছে ফেসবুক। স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্লিংশট এবং পোক নামের আলাদা অ্যাপ প্রকাশ করেছিল ফেসবুক, ব্যর্থ যে হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন বলা হচ্ছে ফেসবুকের পরবর্তী বিবর্তন হবে ব্যবহারকারীর ক্যামেরা ঘিরে। সে তো সব সময়ই ছিল। এবার সরাসরি ফেসবুকে। ফেসবুকের ক্যামেরা চালু করলে প্রথমে আপনার চেহারা শনাক্ত করে তাতে মজার কিছু ছবি বা আবহ যোগ করার সুবিধা পাওয়া যাবে। হয়তো ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় গালে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে দিল, কিংবা মাথায় সার্কাসের টুপি বসিয়ে দিল। শুনতে মজার হলেও সেও তো ওই স্ন্যাপচ্যাট থেকেই নকল করা।
মেহেদী হাসান, সূত্র: ম্যাশেবল, টেকক্রাঞ্চ