গত ২ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে এসেছে
মাইক্রোসফটের নতুন কনসোল এক্সবক্স ওয়ান এস। পূর্ববর্তী কনসোল এক্সবক্স
ওয়ানের তুলনায় কতটা আকর্ষণীয় এ নতুন কনসোলটি? গেইমস্পটের প্রতিবেদন থেকে
পাওয়া তথ্য থেকে দেখে আসা যাক এক্সবক্স ওয়ান এস কনসোলের নানা দিক।
অনেকটা ভিসিআর-এর মতো দেখতে ভারি গড়নের এক্সবক্স ওয়ানের তুলনায় নতুন
এক্সবক্স এস আকারেই শুধু
৪০ শতাংশ ছোটই নয়, ওজনেও ১.৪ পাউন্ড কম। ১১.৬x৮.৯x২.৫ ইঞ্চি গড়নের এ
কনসোলটির ওজন মাত্র ৬.৪ পাউন্ড। ম্যাট ব্ল্যাক
ও রোবট হোয়াইট রঙের সংমিশ্রণের সঙ্গে চেসিসে ছোট গোলাকার কিছু টেক্সচার
কনসোলটির
বড় আকারের এক্সস্টটিকে ঢেকে রেখে একে দিয়েছে অনেকটা পরিচ্ছন্ন রূপ। এ ছাড়াও
কনসোলের ভেতরে তুলনামূলক কম জায়গা থাকা সত্ত্বেও ওভারহিটিং বা বিকট শব্দের
বিড়ম্বনা নেই এতে। কনসোলটির সবচেয়ে চমৎকার ব্যাপারটি হলো এত ছোট আকারের
হওয়া
সত্ত্বেও এক্সবক্স ওয়ান-এর মতো এতে কোনো আলাদা পাওয়ার ব্রিক নেই, বরং তা
চেসিসের ভেতরেই অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়াও এর তুলনামূলক কম দৈর্ঘ্যের ও সরু
টু-প্রং কেইবল কনসোলটিকে অনেকটাই গোছানো রূপ দিয়েছে।
এক্সবক্স ওয়ানের মতোই কনসোলটিতে রয়েছে পাওয়ার পোর্ট, এইচডিএমআই টুএ আউট, এএইচডিএমআই টুএ ইন, দুটি ইউএসবি থ্রি পোর্ট, আইআর আউট, এস/পিডি আআইএফ, গিগাবিট ইথারনেট ও লক পোর্ট। এক্সবক্স ওয়ান এস কাইনেক্ট সাপোর্ট করলেও তা আলাদা একটি ইউএসবি অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে তা সংযুক্ত করতে হবে। ৩৯.৯৯ ডলার মূল্যের এ অ্যাডাপ্টারটি কাইনেক্ট যুক্ত এক্সবক্স ওয়ানের মালিকেরা এক্সবক্স ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে বিনামূল্যে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
এতে ইউএসবি এবং কন্ট্রোলার পেয়ারিং বাটনগুলো সামনে সরিয়ে আনা হয়েছে, ফলে ইউএসবি প্লাগইন-এর জন্য পেছনে অনেকটাই বাড়তি জায়গা পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও পাওয়ার বাটন ডিজাইনে মাইক্রোসফট ক্যাপাসিটিভ বাটন থেকে স্বতন্ত্র একটি ফিজিক্যাল বাটনে সরে আসায় ভুলক্রমে চাপ লেগে অন-অফ হয়ে যাওয়ার ভয় নেই এতে। এক্সবক্স ওয়ান-এর মতো একে শুইয়ে রাখা গেলেও প্রয়োজনে কনসোলটির সঙ্গেই দেওয়া স্ট্যান্ডের সাহায্যে একে দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে।
কনসোলটির ভেতরে প্রধান অংশগুলো অনেকটা একই থাকলেও রয়েছে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন। এতে রয়েছে ১.৭৫ গিগাহার্টজ এএমডি এইট-কোর কাস্টম সিপিইউ, ২১৩৩ মেগাহার্টজ-ক্লকড ৮জিবি ডিডিআরথ্রি র্যাম, জিপিইউ-এর জন্য ৯১৪মেগাহার্টজ-ক্লকড ৩২এমবি ইন্টিগ্রেটেড ইএস র্যাম এবং স্টোরেজ অপশন হিসেবে ৫০০জিবি, ১টিবি ও ২টিবি-এর মধ্য থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ। অপটিকাল ড্রাইভ হিসেবে থাকছে ফোরকে ও হাই ডায়নামিক রেইঞ্জ (এইচডিআর) সুবিধাসম্পন্ন ব্লু-রে প্লেয়ার ও ডিভিডি এবং নেটওয়ার্কিং-এর জন্য থাকছে গিগাবিট ইথারনেট, ওয়াইফাই এ/বি/জি/এন/এসি ২.৪গিগাহার্টজ ও ৫গিগাহার্টজ। তবে এক্সবক্স ওয়ানের মতোই এ কনসোলটির হার্ডড্রাইভ ৫,৪০০ আরপিএম গতিসম্পন্ন এবং তা প্রয়োজনে আপগ্রেড করা সম্ভব নয়, যা কিছুটা হতাশাজনকই বটে।
এক্সবক্স ওয়ানের ৮৫৩মেগাহার্টজ জিপিউ থেকে এক্সবক্স ওয়ান এস-এ বাড়িয়ে ৯১৪মেগাহার্টজ করার প্রভাব এমনিতে খুব একটা লক্ষণীয় না হলেও এর মূল উদ্দেশ্য এইচডিআর ও ফোরকে(২১৬০পি) ভিডিও স্ট্রিমিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটিং পাওয়ার নিশ্চিত করা। তবে এর জন্য অবশ্যই ফোরকে ও এইচডিআর সাপোর্ট করে এমন মনিটরের প্রয়োজন হবে।
কনসোলটির ভেতরকার মতোই কন্ট্রোলারে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। তুলনামূলক কম প্লাস্টিকে তৈরি হওয়ায় কন্ট্রোলারটি এক্সবক্স ওয়ান কন্ট্রোলারের তুলনায় দেখতে তুলনামূলকভাবে পরিচ্ছন্ন, আর এর টেক্সচারড গ্রিপে রয়েছে কিছুটা খসখসে ভাব। তবে এএ ব্যাটারিতে চালিত এ কন্ট্রোলারটি নন-রিচার্জেবল এবং এতে কোন ব্যাটারি ইন্ডিকেটর নেই। তবে এ কন্ট্রোলারটিতে ব্লুটুথ সাপোর্ট রয়েছে, ফলে একে উইন্ডোজ টেন পিসির সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব। এ ছাড়াও এর থাম্বস্টিকটিকে আরও সহনক্ষমতাসম্পন্ন করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
গেইমস্পট জানায়, এক্সবক্স ওয়ান এস কনসোলের ৫০০জিবি, ১টিবি ও ২টিবি সংস্করণ যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ২৯৯ ডলার, ৩৪৯ ডলার ও ৩৯৯ ডলারে।
আগামী বছর মাইক্রোসফটের নতুন কনসোল "প্রজেক্ট স্করপিও" বাজারে আসার আগে এক্সবক্স ওয়ান এস আলোড়ন ফেলে দেওয়ার মতো কোনো সংযোজন না হলেও নানা বাড়তি ফিচারের বিবেচনায় নতুন এক্সবক্স কেনায় আগ্রহীরা এর স্বাদটা চেখে দেখতেই পারেন!
এক্সবক্স ওয়ানের মতোই কনসোলটিতে রয়েছে পাওয়ার পোর্ট, এইচডিএমআই টুএ আউট, এএইচডিএমআই টুএ ইন, দুটি ইউএসবি থ্রি পোর্ট, আইআর আউট, এস/পিডি আআইএফ, গিগাবিট ইথারনেট ও লক পোর্ট। এক্সবক্স ওয়ান এস কাইনেক্ট সাপোর্ট করলেও তা আলাদা একটি ইউএসবি অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে তা সংযুক্ত করতে হবে। ৩৯.৯৯ ডলার মূল্যের এ অ্যাডাপ্টারটি কাইনেক্ট যুক্ত এক্সবক্স ওয়ানের মালিকেরা এক্সবক্স ওয়েবসাইট ভিজিট করার মাধ্যমে বিনামূল্যে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।
এতে ইউএসবি এবং কন্ট্রোলার পেয়ারিং বাটনগুলো সামনে সরিয়ে আনা হয়েছে, ফলে ইউএসবি প্লাগইন-এর জন্য পেছনে অনেকটাই বাড়তি জায়গা পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও পাওয়ার বাটন ডিজাইনে মাইক্রোসফট ক্যাপাসিটিভ বাটন থেকে স্বতন্ত্র একটি ফিজিক্যাল বাটনে সরে আসায় ভুলক্রমে চাপ লেগে অন-অফ হয়ে যাওয়ার ভয় নেই এতে। এক্সবক্স ওয়ান-এর মতো একে শুইয়ে রাখা গেলেও প্রয়োজনে কনসোলটির সঙ্গেই দেওয়া স্ট্যান্ডের সাহায্যে একে দাঁড় করিয়ে রাখা যাবে।
কনসোলটির ভেতরে প্রধান অংশগুলো অনেকটা একই থাকলেও রয়েছে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন। এতে রয়েছে ১.৭৫ গিগাহার্টজ এএমডি এইট-কোর কাস্টম সিপিইউ, ২১৩৩ মেগাহার্টজ-ক্লকড ৮জিবি ডিডিআরথ্রি র্যাম, জিপিইউ-এর জন্য ৯১৪মেগাহার্টজ-ক্লকড ৩২এমবি ইন্টিগ্রেটেড ইএস র্যাম এবং স্টোরেজ অপশন হিসেবে ৫০০জিবি, ১টিবি ও ২টিবি-এর মধ্য থেকে বেছে নেওয়ার সুযোগ। অপটিকাল ড্রাইভ হিসেবে থাকছে ফোরকে ও হাই ডায়নামিক রেইঞ্জ (এইচডিআর) সুবিধাসম্পন্ন ব্লু-রে প্লেয়ার ও ডিভিডি এবং নেটওয়ার্কিং-এর জন্য থাকছে গিগাবিট ইথারনেট, ওয়াইফাই এ/বি/জি/এন/এসি ২.৪গিগাহার্টজ ও ৫গিগাহার্টজ। তবে এক্সবক্স ওয়ানের মতোই এ কনসোলটির হার্ডড্রাইভ ৫,৪০০ আরপিএম গতিসম্পন্ন এবং তা প্রয়োজনে আপগ্রেড করা সম্ভব নয়, যা কিছুটা হতাশাজনকই বটে।
এক্সবক্স ওয়ানের ৮৫৩মেগাহার্টজ জিপিউ থেকে এক্সবক্স ওয়ান এস-এ বাড়িয়ে ৯১৪মেগাহার্টজ করার প্রভাব এমনিতে খুব একটা লক্ষণীয় না হলেও এর মূল উদ্দেশ্য এইচডিআর ও ফোরকে(২১৬০পি) ভিডিও স্ট্রিমিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় কম্পিউটিং পাওয়ার নিশ্চিত করা। তবে এর জন্য অবশ্যই ফোরকে ও এইচডিআর সাপোর্ট করে এমন মনিটরের প্রয়োজন হবে।
কনসোলটির ভেতরকার মতোই কন্ট্রোলারে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। তুলনামূলক কম প্লাস্টিকে তৈরি হওয়ায় কন্ট্রোলারটি এক্সবক্স ওয়ান কন্ট্রোলারের তুলনায় দেখতে তুলনামূলকভাবে পরিচ্ছন্ন, আর এর টেক্সচারড গ্রিপে রয়েছে কিছুটা খসখসে ভাব। তবে এএ ব্যাটারিতে চালিত এ কন্ট্রোলারটি নন-রিচার্জেবল এবং এতে কোন ব্যাটারি ইন্ডিকেটর নেই। তবে এ কন্ট্রোলারটিতে ব্লুটুথ সাপোর্ট রয়েছে, ফলে একে উইন্ডোজ টেন পিসির সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব। এ ছাড়াও এর থাম্বস্টিকটিকে আরও সহনক্ষমতাসম্পন্ন করে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
গেইমস্পট জানায়, এক্সবক্স ওয়ান এস কনসোলের ৫০০জিবি, ১টিবি ও ২টিবি সংস্করণ যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ২৯৯ ডলার, ৩৪৯ ডলার ও ৩৯৯ ডলারে।
আগামী বছর মাইক্রোসফটের নতুন কনসোল "প্রজেক্ট স্করপিও" বাজারে আসার আগে এক্সবক্স ওয়ান এস আলোড়ন ফেলে দেওয়ার মতো কোনো সংযোজন না হলেও নানা বাড়তি ফিচারের বিবেচনায় নতুন এক্সবক্স কেনায় আগ্রহীরা এর স্বাদটা চেখে দেখতেই পারেন!