ব্রাজিলে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় হুমকি কোনটি? অলিম্পিকে আসা অতিথিদের জন্য
সবচেয়ে বড় হুমকি হতে পারে ইন্টারনেট। কারণ, সেখানে পাতা হতে পারে প্রতারণার
জাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে ইতিমধ্যে ইন্টারনেটভিত্তিক ফিশিং
কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। লোভনীয় প্রস্তাব পাঠিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
প্রতারণাকে ফিশিং স্ক্যাম বলে। ব্রাজিলের সম্ভাব্য ইন্টারনেট হুমকি নিয়ে
একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, রিও অলিম্পিকের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হয়ে গেছে। ক্রীড়াজগতের এই বিশাল যজ্ঞের নিরাপত্তার কাজ সামাল দেওয়া আয়োজকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। ব্রাজিলের সরকার পরিকল্পনা করেছে, ৮৫ হাজার সশস্ত্র সেনা ও পুলিশ সদস্য দিয়ে রিও ডি জেনিরোতে অলিম্পিক গেমসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু বিভিন্ন বিশেষজ্ঞর প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, অলিম্পিক দেখতে আসা অতিথিরা ইন্টারনেট থেকে সবচেয়ে বড় হুমকির মুখোমুখি হবেন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ফোর্টিনেট ২ আগস্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, ব্রাজিলে ক্ষতিকর ও ফিশিং (প্রলুব্ধকারী অনলাইন কার্যক্রম) ডোমেইন নাম ও ইউআরএলের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে ক্ষতিকর ইউআরএলের সংখ্যা বেড়েছে ৮৩ শতাংশ। যেখানে সমগ্র বিশ্বে এর পরিমাণ বেড়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া ইন্টারনেটভিত্তিক ফিশিং কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বেই বেড়েছে। ফোর্টিনেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে জুন মাসে এ ধরনের কাজ বেড়েছে ৭৬ শতাংশ। আর ২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, রাশিয়া ও ভারতে ফিশিং মেইলের কার্যক্রমও বাড়তে দেখা গেছে।
ক্যাসপারস্কি ল্যাবের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রাজিলে ফিশিং কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে তাঁদের পরিচয়পত্র সাইবার হামলাকারীদের লক্ষ্য। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্টারনেটে এমন কর্মকাণ্ডের হদিস পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
ক্যাসপারস্কির গবেষকদের বরাত দিয়ে ইনসাইট ক্রাইম জানায়, ব্রাজিলে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, সেখানে পর্যটকদের ব্যবহার করা প্রতি চারটির মধ্যে একটি ওয়্যারলেস ইন্টারনেট অ্যাকসেস পয়েন্টের নিরাপত্তাব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। এগুলোতে সহজেই সাইবার হামলা করা যেতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
অন কল ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জিম হাটন বলেন, সেখানে অবশ্যই বুদ্ধিমান অপরাধীরা ওত পেতে রয়েছে। এরা ক্রেডিট কার্ড ও পরিচয়পত্র জালিয়াতির কাজ করতে পারে। যদি বিভিন্ন কোম্পানি, বিশেষ করে স্পনসর কোম্পানিগুলো ব্রাজিলে ভ্রমণ করে, তাহলে তারা তাদের বিপণন পরিকল্পনা, মক্কেলদের ব্যাপারে ও কোম্পানির মালিকানা-সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সঙ্গে রাখবে। সেগুলোও কিন্তু ঝুঁকিতে রয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওভারসিজ সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (ওএসএসি) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ব্রাজিলে সাইবার নিরাপত্তা ও অনলাইন জালিয়াতির ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি ডলারের কোঠা ছাড়িয়ে গেছে। আর ইনসাইট ক্রাইম বলছে, এসব অবৈধ কার্যক্রম চলতি বছরগুলোতে আরও বেড়েছে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো দেখিয়েছে যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অনলাইন অপরাধীদের গোষ্ঠীগুলো ব্রাজিলের সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে ব্রাজিলে প্রায় পাঁ লাখ পর্যটক যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরাও যে অনেক মওকা পাবে, তা বোঝাই যায়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, রিও অলিম্পিকের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হয়ে গেছে। ক্রীড়াজগতের এই বিশাল যজ্ঞের নিরাপত্তার কাজ সামাল দেওয়া আয়োজকদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মানছেন সংশ্লিষ্ট সবাই। ব্রাজিলের সরকার পরিকল্পনা করেছে, ৮৫ হাজার সশস্ত্র সেনা ও পুলিশ সদস্য দিয়ে রিও ডি জেনিরোতে অলিম্পিক গেমসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। কিন্তু বিভিন্ন বিশেষজ্ঞর প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, অলিম্পিক দেখতে আসা অতিথিরা ইন্টারনেট থেকে সবচেয়ে বড় হুমকির মুখোমুখি হবেন।
সাইবার নিরাপত্তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ফোর্টিনেট ২ আগস্ট এক প্রতিবেদনে বলেছে, ব্রাজিলে ক্ষতিকর ও ফিশিং (প্রলুব্ধকারী অনলাইন কার্যক্রম) ডোমেইন নাম ও ইউআরএলের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশটিতে ক্ষতিকর ইউআরএলের সংখ্যা বেড়েছে ৮৩ শতাংশ। যেখানে সমগ্র বিশ্বে এর পরিমাণ বেড়েছে মাত্র ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া ইন্টারনেটভিত্তিক ফিশিং কর্মকাণ্ড সারা বিশ্বেই বেড়েছে। ফোর্টিনেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে জুন মাসে এ ধরনের কাজ বেড়েছে ৭৬ শতাংশ। আর ২০১৬ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, রাশিয়া ও ভারতে ফিশিং মেইলের কার্যক্রমও বাড়তে দেখা গেছে।
ক্যাসপারস্কি ল্যাবের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রাজিলে ফিশিং কর্মকাণ্ডের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে অলিম্পিক গেমসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে তাঁদের পরিচয়পত্র সাইবার হামলাকারীদের লক্ষ্য। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্টারনেটে এমন কর্মকাণ্ডের হদিস পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
ক্যাসপারস্কির গবেষকদের বরাত দিয়ে ইনসাইট ক্রাইম জানায়, ব্রাজিলে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, সেখানে পর্যটকদের ব্যবহার করা প্রতি চারটির মধ্যে একটি ওয়্যারলেস ইন্টারনেট অ্যাকসেস পয়েন্টের নিরাপত্তাব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। এগুলোতে সহজেই সাইবার হামলা করা যেতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা।
অন কল ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা জিম হাটন বলেন, সেখানে অবশ্যই বুদ্ধিমান অপরাধীরা ওত পেতে রয়েছে। এরা ক্রেডিট কার্ড ও পরিচয়পত্র জালিয়াতির কাজ করতে পারে। যদি বিভিন্ন কোম্পানি, বিশেষ করে স্পনসর কোম্পানিগুলো ব্রাজিলে ভ্রমণ করে, তাহলে তারা তাদের বিপণন পরিকল্পনা, মক্কেলদের ব্যাপারে ও কোম্পানির মালিকানা-সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সঙ্গে রাখবে। সেগুলোও কিন্তু ঝুঁকিতে রয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওভারসিজ সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল (ওএসএসি) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ব্রাজিলে সাইবার নিরাপত্তা ও অনলাইন জালিয়াতির ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি ডলারের কোঠা ছাড়িয়ে গেছে। আর ইনসাইট ক্রাইম বলছে, এসব অবৈধ কার্যক্রম চলতি বছরগুলোতে আরও বেড়েছে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো দেখিয়েছে যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অনলাইন অপরাধীদের গোষ্ঠীগুলো ব্রাজিলের সাইবার অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। অলিম্পিক গেমস উপলক্ষে ব্রাজিলে প্রায় পাঁ লাখ পর্যটক যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরাও যে অনেক মওকা পাবে, তা বোঝাই যায়।