ওবামা প্রশাসন পেন্টাগনের সাইবার কমান্ডের মর্যাদা
বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। এর
মাধ্যমে আক্রমণ প্রতিরোধ, মার্কিন নেটওয়ার্কে অনধিকার প্রবেশকারীদের শাস্তি
প্রদানে আর ইসলামিক স্টেটের মতো শত্রুদের ঠেকাতে সাইবার অস্ত্র উন্নতকরণের
সংকেত পাওয়া যাচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, হোয়াইট হাউসে বিবেচিত
এই পরিকল্পনায় মার্কিন সাইবার কমান্ড সামরিক ভাষায় বলা ‘ইউনিফাইড কমান্ড’-এ পরিণত হবে,
যা সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল আর প্যাসিফিক কমান্ডসের মতো যুদ্ধ শাখার সমান হবে।
ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আড়িপাতার জন্য সমালোচিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে সাইবার কমান্ড আলাদা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভবিষ্যতের দ্বন্দ্বে আক্রমণাত্মক ও আত্মরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রে সাইবার সরঞ্জাম ব্যবহারে সাইবার কমান্ডের অধিনায়কদের এটি আগের তুলনায় কথা বলার বেশি ক্ষমতা দেবে, জানিয়েছে রয়টার্স।
এই দুই সংগঠনই ওয়াশিংটন থেকে ৩০ মাইল উত্তরে মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিডে অবস্থিত আর নেভি অ্যাডমিরাল মাইকেল এস. রজার্স দ্বারা পরিচালিত।
পরিকল্পনাটি সম্পর্কে জ্ঞাত একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এটি আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাওয়া সাইবার অপারেশনের চিত্রে আর সাইবার কমান্ড আর এনএসএ’র ভিন্ন ভিন্ন অভিযানের উপর আলোকপাত করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
সাইবার কমান্ডের একজন মুখপাত্র পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আর এনএসএ-কে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালে প্রতিস্থাপিত সাইবার কমান্ড বর্তমানে মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের অধীনস্ত। মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড সামরিক স্পেস অপারেশন, পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা তদারকি করে।
মার্কিন কর্মকর্তারা সাইবার কমান্ডের নতুন অবস্থা সহ পরিকল্পনার খুঁটিনাটি এখনও বিতর্কিত বলে সতর্ক করেন।
এই ব্যপারে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন না ওই জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিষয়টি কখন পেশ করা হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, প্রশাসন “সাইবার স্পেস বা অন্য কোথাও পাল্টা নব্য হুমকির ক্ষেত্রে আমাদের উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামো আছে কিনা তা নিয়ে ক্রমাগত পর্যালোচনা করছিল।"
“ঘোষণা দেওয়ার মতো কাঠামোতে পরিবর্তন করা যখন হয়নি তখন এনএসএ আর সাইবার কমান্ডের মধ্যের সম্পর্ক আমাদের রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রদানে গুরুতর", ওই কর্মকর্তা বলেন।
এ বছরের শুরুতে পেন্টাগন স্বীকৃত দেয়, তারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ করেছে, যদিও এ বিষয়ে খুঁটিনাটি সব তথ্য অত্যন্ত গোপনীয়।
“আমরা সাইবার বোমা ফেলছি। আমরা আগে কখনও এরকম কিছু করিনি,” গত এপ্রিলে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট ওয়ার্ক বলেন।
পেন্টাগনের নেতারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সাইবার কমান্ডের ইলেকট্রনিক আক্রমণের গতি নিয়ে হতাশ বলে জুলাই মাসে এক প্রতিবেদনে জানায় মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।
এর জবাবে রজার্স ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন ডিজিটাল অস্ত্র তৈরি আর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সঙ্গে একই অবস্থায় থাকার জন্য জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স এরিস গঠন করে। কেন্দ্রীয় কমান্ডের উপর মধ্যপ্রাচ্য আর দক্ষিণ এশিয়ায় কমব্যাট অপারেশন পরিচালনার দায়িত্ব আছে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেমস লুইস জানান, ওবামার সামনে যে পরিকল্পনাটি পেশ করা হবে তাতে বিগত বছরে এনএসএ’র উপর নির্ভরশীল থাকা সাইবার কমান্ড কীভাবে তার নিজস্ব কর্মবল আর ডিজিটার সরঞ্জাম উন্নত করছে তা তুলে ধরা হবে।
লুইস বলেন, “এতে সাইবার কমান্ডের বর্ধন আর তার নিজস্ব কর্মক্ষমতার প্রতিফলন হবে।“
ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে আড়িপাতার জন্য সমালোচিত ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি থেকে সাইবার কমান্ড আলাদা হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ভবিষ্যতের দ্বন্দ্বে আক্রমণাত্মক ও আত্মরক্ষামূলক উভয় ক্ষেত্রে সাইবার সরঞ্জাম ব্যবহারে সাইবার কমান্ডের অধিনায়কদের এটি আগের তুলনায় কথা বলার বেশি ক্ষমতা দেবে, জানিয়েছে রয়টার্স।
এই দুই সংগঠনই ওয়াশিংটন থেকে ৩০ মাইল উত্তরে মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিডে অবস্থিত আর নেভি অ্যাডমিরাল মাইকেল এস. রজার্স দ্বারা পরিচালিত।
পরিকল্পনাটি সম্পর্কে জ্ঞাত একজন সাবেক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, এটি আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাওয়া সাইবার অপারেশনের চিত্রে আর সাইবার কমান্ড আর এনএসএ’র ভিন্ন ভিন্ন অভিযানের উপর আলোকপাত করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
সাইবার কমান্ডের একজন মুখপাত্র পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি আর এনএসএ-কে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালে প্রতিস্থাপিত সাইবার কমান্ড বর্তমানে মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের অধীনস্ত। মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড সামরিক স্পেস অপারেশন, পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা তদারকি করে।
মার্কিন কর্মকর্তারা সাইবার কমান্ডের নতুন অবস্থা সহ পরিকল্পনার খুঁটিনাটি এখনও বিতর্কিত বলে সতর্ক করেন।
এই ব্যপারে কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন না ওই জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার কাছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য বিষয়টি কখন পেশ করা হবে তা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, প্রশাসন “সাইবার স্পেস বা অন্য কোথাও পাল্টা নব্য হুমকির ক্ষেত্রে আমাদের উপযুক্ত সাংগঠনিক কাঠামো আছে কিনা তা নিয়ে ক্রমাগত পর্যালোচনা করছিল।"
“ঘোষণা দেওয়ার মতো কাঠামোতে পরিবর্তন করা যখন হয়নি তখন এনএসএ আর সাইবার কমান্ডের মধ্যের সম্পর্ক আমাদের রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রদানে গুরুতর", ওই কর্মকর্তা বলেন।
এ বছরের শুরুতে পেন্টাগন স্বীকৃত দেয়, তারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ করেছে, যদিও এ বিষয়ে খুঁটিনাটি সব তথ্য অত্যন্ত গোপনীয়।
“আমরা সাইবার বোমা ফেলছি। আমরা আগে কখনও এরকম কিছু করিনি,” গত এপ্রিলে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট ওয়ার্ক বলেন।
পেন্টাগনের নেতারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সাইবার কমান্ডের ইলেকট্রনিক আক্রমণের গতি নিয়ে হতাশ বলে জুলাই মাসে এক প্রতিবেদনে জানায় মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।
এর জবাবে রজার্স ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন ডিজিটাল অস্ত্র তৈরি আর কেন্দ্রীয় কমান্ডের সঙ্গে একই অবস্থায় থাকার জন্য জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স এরিস গঠন করে। কেন্দ্রীয় কমান্ডের উপর মধ্যপ্রাচ্য আর দক্ষিণ এশিয়ায় কমব্যাট অপারেশন পরিচালনার দায়িত্ব আছে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিসের সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেমস লুইস জানান, ওবামার সামনে যে পরিকল্পনাটি পেশ করা হবে তাতে বিগত বছরে এনএসএ’র উপর নির্ভরশীল থাকা সাইবার কমান্ড কীভাবে তার নিজস্ব কর্মবল আর ডিজিটার সরঞ্জাম উন্নত করছে তা তুলে ধরা হবে।
লুইস বলেন, “এতে সাইবার কমান্ডের বর্ধন আর তার নিজস্ব কর্মক্ষমতার প্রতিফলন হবে।“