ডুয়ো-এর পেছনে অবস্থান করছে ফেইসবুক মেসেঞ্জার, পোকিমন গো, ফেইসবুক, স্ন্যাপচ্যাট আর ইউটিউব মিউজিক।
অ্যাপটি উল্লেখযোগ্যভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ করতে পেরেছে, এমনটাই বলা হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার-এ।
গুগল প্লে স্টোর-এ গুগল ডুয়ো-এর গড় রেটিং হচ্ছে ৪.৫। অন্যদিকে, প্রতিদ্বন্দ্বী ফেইসবুক-এর রেটিং ৪, ফেইসবুক মেসেঞ্জার-এর ৩.৯ আর স্ন্যাপচ্যাট-এর ৩.৯। 
এ খবর প্রকাশের আগের সপ্তাহে, অনেকেই ধারণা প্রকাশ করেছিলেন যে, হোয়াটস অ্যাপ, ফেইসবুক মেসেঞ্জার আর ফেইসটাইম-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে টেক্কা দিতে গুগল ডুয়ো-এর সুযোগ খুবই ছোট। কিন্তু ইতোমধ্যেই অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে বাজিমাত করে দিয়েছে।
প্রথমে কয়েকটি দেশে বের করা হলেও, বর্তমানে অ্যাপটি বিশ্বব্যাপী পাওয়া যাচ্ছে।  
চলতি বছর মে-তে নতুন এই অ্যাপের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এখন অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন আর আইফোন-এর জন্য বিনামূল্যে ছাড়া হচ্ছে।
এই অ্যাপে কলগুলো এনক্রিপটেড রাখা হবে আর ইন্টারনেট সংযোগের গতির উপর ভিত্তি করে এর ভিডিও-এর মান ঠিক হবে।
আইওএস-এর ফেইসটাইম-এর মতোই ডুয়ো-তে কল করার জন্য শুধু ব্যক্তির ফোন নাম্বার দরকার হয়। এ ধরনের অনেক সেবায় ব্যবহারকারীদের ভিডিও কলিং অপশন ব্যবহারের জন্য অ্যাকাউন্ট লগইন করতে হয়।
২০১৩ সাল থেকে গুগল হ্যাংআউট-এর মাধ্যমে ভিডিও কলিং সেবা দিচ্ছে। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কলে ডুয়ো আরও সহজ ও নির্ভরযোগ্য হবে বলে দাবি নির্মাতাদের।
সামনের কয়েকদিনের মধ্যে বিশ্বের সবখানে এই অ্যাপ পাওয়া যাবে।
গুগল 'অ্যাল্লো' নামের আরেকটি মেসেজিং অ্যাপ উন্মোচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে রোবোটিক অ্যাসিস্ট্যান্ট আনা হবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে টেক্সট-এর জবাবের পরামর্শ দেবে।
 
Top