বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন।
শনিবার রাত ৮টায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনীর ফেরদৌসের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির সকল সদস্য ও কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আগামীকাল পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা সমূহে আঘাত হানতে পারে। সভায় ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতিমূলক সকল প্রকার প্রয়োজনীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় উপজেলা সদর, সুবর্নচর, হাতিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা আজ বিকেলে নিজ নিজ উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধ কমিটির মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সভায় জানানো হয়। নোয়াখালীর সবচেয়ে উপকূলীয় দ্বীপ হাতিয়া ও নিঝুমদ্বীপে বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সংকেতসহ পতাকা উত্তোলন, মাইকিং করে লোকজনকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা মূলক প্রচার করা হয়।
সদর, হাতিয়া, সুবর্নচর ও কোম্পানীগঞ্জে ৩৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৩০টি মেডিকেল টিম প্রতিরোধ রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগন জানান। ইতিমধ্যে নোয়াখালী জেলা কোর্ট বিল্ডিং এ সার্বক্ষনিক কন্ট্রোল রুম এবং হাতিয়া, সুবর্নচর ও কোম্পানীগঞ্জে ৩টি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
আজ সকাল থেকে সারাদিনই নোয়াখালী জেলায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসন উপকূলীয় উপজেলা সমূহের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় কোনো খাবার,পানীয় জল,সকল প্রকার যানবাহনের ব্যবস্থা করেছেন। বৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারে নিঝুমদ্বীপসহ হাতিয়ার বেড়ির বাহিরে নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।