এর আগে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সাইবার আক্রমণে দেশটির ইন্টারনেট সংযোগের একমাত্র লিংকটি বারবার জর্জরিত হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে এই ধরনের ঘটনার কোন তথ্য-প্রমাণ নেই। কিন্তু তাদের ভাষ্যমতে, একটি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান যা সারা দেশের প্রায় অর্ধেক মোবাইল ব্যবহারকারীদের সেবা দিয়ে থাকে তাদের উপর বারবার সীমিত আকারে আক্রমণ করা হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি।
হামলায় ব্যবহৃত নেটওয়ার্ক বা বটনেট পর্যবেক্ষক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এর আগে লক্ষ্য করেছিলেন যে লাইবেরিয়ার নেট অ্যাড্রেসগুলোতে অতিরিক্ত ডেটা পাঠানো হচ্ছে আর মাত্রারিক্ত চাপের ফলে নেট অ্যাকসেস ব্যাহত হয়েছে।
বিভিন্ন নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ও দেশটির টেলিযোগাযোগ কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বাস্তবেই দেশটিতে ইন্টারনেট অ্যাকসেস আক্রান্ত হয়েছে।
অক্টোবরের শেষের দিকে এক খবরে জানা যায়, ‘মিরাই’ নামের একটি বটনেট দিয়ে অনিরাপদ ডিভাইসগুলো খুঁজে বের করে আক্রমণ চালানো হয়েছিল, যার ফলে টুইটার, স্পটিফাই, রেডিট-এর মতো সাইটগুলোতে অ্যাকসেস করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল।  
লাইবেরিয়ার টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জার্সি বারফাই বলেন, তারা দেশটির ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট যেখানে দেশীয় ট্রাফিক বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে তা পর্যবেক্ষণ করে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ডেটা প্রবাহ বা হ্যাকিংয়ের প্রমাণ পাননি। “আমাদের পর্যবেক্ষণ সিস্টেম শেষ তিন সপ্তাহে কোনো অসংগতি খুঁজে পায়নি”- বিবিসি কে বলেন তিনি।
বারফাই বলেন ‘লনস্টার সেল মোবাইল’ নামের একটি স্থানীয় অপারেটর অবিরাম সাইবার আক্রমণের স্বীকার হয়েছিল। এর ফলে তাদের নেট অ্যাকসেস প্রদানের ক্ষমতা ব্যাহত হয়েছিল। এই অপারেটরটি দেশটির ৫০ শতাংশ মোবাইল শেয়ারের মালিক। তারা জানায়, তাদের নেটওয়ার্ক তথাকথিত সাইবার আক্রমণের স্বীকার হয়েছে যা ইন্টারনেট পরিসেবা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করেছে।
“আমরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি ও প্রতিটি সেবা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে”- জানানো হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
 
Top