এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলের তালিকা অনুযায়ী এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে কায়ান্ট।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সানাউল হক খান জানান, কায়ান্ট নামটি প্রস্তাব করেছিল মিয়ানমার। স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ কুমির।
দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেতের মানে হল- দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বন্দরে এ ঝড়ের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আপাতত না থাকলে সাগরে থাকা জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়তে পারে।

 সোমবার পূর্ব-মধ‌্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শুরুতে পানির উষ্ণতা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মিয়ানমারের দিকে এগোলেও সোমবার তা উল্টো ঘুরে উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারতের বিশাখাপত্তম উপকূলের দিকে এগোতে শুরু করে।
সানাউল হক বলেন, “মঙ্গলবার সকালে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়। আগামী ২৮ অক্টোবর তা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এখন পর্যন্ত ঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ ভারতের দিকে।”
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা সর্বক্ষণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশেষ বুলেটিনে নিয়মিত পরিস্থিতি সম্পর্কে সবাইকে জানানো হবে। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসার সম্ভাবনা কম।”
বিশেষ বুলেটিনে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘কায়ান্ট’ বর্তমানে অবস্থান করছে পূর্ব-মধ‌্য বঙ্গোপসাগরে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল ঝড়টি।
সে সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ‌্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
 
Top