সাইট থেকে ‘ব্লাসফেমি’ কনটেন্ট সরিয়ে নিতে পাকিস্তানের করা অনুরোধ রাখছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক। ইতোমধ্যে সাইটটি থেকে এ ধরনের প্রায় ৮৫ শতাংশ কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সোমবার এ তথ্য জানান এক কর্মকর্তা।
পাকিস্তানের টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ পিটিএ-এর চেয়ারম্যান ইসলামাবাদ হাই কোর্ট (আইএইচসি)-কে জানান, ২৫ জনের একটি দল সামাজিক মাধ্যমটিতে মানহানিকর কনটেন্ট খুঁজছে, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর এক প্রতিনবেদনে।কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, পিটিএ এ ধরনের ৪০টি পেইজের মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ব্লাসফেমি কনটেন্ট-এর বিরুদ্ধে দাখিল করা এক পিটিশনের থেমে থাকা শুনানি চালু করা হলে আদালতের বেঞ্চকে এ বিষয়ে জানানো হয়।
সামাজিক মাধ্যমটিতে এ ধরনের আচরণ বন্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে নতুন করে প্রতিবেদন দাখিলে পিটিএ-কে নির্দেশনা দেয় আদালত।
বিচারক বলেন, “ফেইসবুক এখন তাদের প্লাটফর্ম থেকে ব্লাসফেমি কনটেন্ট সরিয়ে নিয়েছে আর প্রতিষ্ঠানটি আমাদের অনুরোধের উপর কাজ করছে। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনাও করেনি, সে হিসেবে এখন এটি আমাদের সাফল্য।
দেশটির স্বরাষ্ট্র সচিব এ বিষয়ে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করেছেন। এ সম্পর্কিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ নিয়ে দেশটির সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সাইট থেকে প্রায় ৮৫ শতাংশ ব্লাসফেমি কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ও ফেইসবুক বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয় বলে তিনি জানান।
এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মনিন্দা বন্ধে তার সমর্থনের কথা জানান। তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে হতে এক টুইটে তিনি জানান, ধর্মনিন্দা একটি “ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।” প্রধানমন্ত্রীর এমন সমর্থনের পর দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী চাউধ্রি নিসার বিষয়টি থামাতে উদ্যোগ নেন। তিনি জানান পাকিস্তানের বার্তা বাইরে পৌছানোর জন্য তিনি “যে কোনো উদ্যোগ” নেবেন। নিসার আরও জানান, মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর সঙ্গে কর্মকর্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
“ফেইসবুক এবং অন্যান্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত যারা অধার্মিক কথাবার্তা ছড়ায় তাদের সকল তথ্য আমাদের সঙ্গে শেয়ার করা,” বলেন নিসার।