পাঁচ মিনিটেই পুর্ণ চার্জড হবে স্মার্টফোনের ব্যাটারি। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সামনের বছরই গ্রাহকের জন্য বাজারে আসতে পারে এই প্রযুক্তি।
২০১৫ সালে লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত কনজিউমারস ইলেক্ট্রনিক শো-তে প্রথমবার এই প্রযুক্তি দেখায় ইসরাইয়েলি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান স্টোরডট। তাদের এই ব্যাটারি প্রযুক্তির নাম বলা হচ্ছে ফ্ল্যাশব্যাটারি।প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ডোরন মেয়ারসডর্ফ বিবিসি-কে বলেন, ২০১৮ সালের শুরুর দিকেই এর উৎপাদন শুরু করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এদিকে সিসিএস ইনসাইট-এর প্রযুক্তি বিশ্লেষক বেন উড বলছেন, স্টোরডট-এর এমন দাবি নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে।
২০১৫ সালে মেয়ারসডর্ফ বলেন, তাদের ব্যাটারিতে এমন উপাদান রয়েছে যাতে ‘প্রথাগত’ বিক্রিয়া নেই। ফলে এটি অ্যানোড থেকে ক্যাথোডে অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত হারে আয়ন স্থানান্তর করতে পারে।
২০১৫ সালে উন্মোচনের সময় ব্যাটারিগুলোর কিছু সংস্করণ বেশির ভাগ স্মার্টফোন ব্যাটারির তুলনায় পুরু ছিল। কিন্তু মেয়ারসডর্ফ-এর দাবি ব্যাটারিগুলো এখন বাজারের জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “আমরা পাঁচ মিনিটে একটি স্মার্টফোন চার্জ করবো। দু’টি এশিয়ান ব্যাটারি প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠানে এটির পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছিল এবং ২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকে বড় পরিসরে এর উৎপাদন শুরুর প্রত্যাশা করা হচ্ছে।”
মেয়ারসডর্ফ-এর এমন দাবি নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন উড। তিনি বলেন, যত দ্রুত এই প্রযুক্তি বাজারে আনার কথা বলা হয়েছে তা সম্ভব হলে এটি শিল্পের জন্য একটি দারুণ মুহুর্ত হবে।
একই সঙ্গে এ নিয়ে সতর্কবার্তাও দিয়েছেন উড। বিবিসি-কে তিনি বলেন, “ব্যাটারি প্রযুক্তি নিয়ে ঝুঁকি নিলে এটি আপনাকে ‘কামড়াতে’ পারে। অভিজ্ঞতা আমাকে যে শিক্ষা দিয়েছে তা হল সংশয়ী থাকা। দেখা যাক এটি যদি বাস্তব হয় আমার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হয়।”
২০১৬ সালের নভেম্বরে কুইক চার্জ ৪ প্রযুক্তির ঘোষণা দিয়েছে চিপ নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান কোয়ালকম। তাদের দাবি এই প্রযুক্তিতে পাঁচ মিনিট চার্জ দিলে ব্যাটারি চলবে পাঁচ ঘন্টা।
আগের সপ্তাহেই জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারিও উন্মোচন করেছে স্টোরডট, যা পাঁচ মিনিটে পূর্ণ চার্জ করা যাবে। আর একবার চার্জে গাড়ি ৩০০ মাইল পর্যন্ত চলবে বলেও উল্লেখ করা হয়।