অ্যাপলের সঙ্গে নানা দ্বন্দ্বের পর শেষ পর্যন্ত তৃতীয় পক্ষের সহায়তায় ওই আইফোন খুলেছিল এফবিআই।  কীভাবে ওই আইফোন খোলা হল তা নিয়ে তথ্য প্রকাশের দাবি করে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয় তিন সংবাদসংস্থা। 
এই আইফোন খুলতে এফবিআই কাদেরকে নিয়োগ দিয়েছিল বা তাদের কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয় তা নিয়ে এই দলিলে কোনো তথ্য প্রকাশিত হয়নি।  প্রকাশের আগে এফবিআই ওই নথিগুলো ‘গোপন’ লিখে চিহ্নিত করতে রেখেছিল বলে জানিয়েছে সাইটটি। 
ওই তিন সংবাদ সংস্থার কাছে এ নিয়ে কী তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি কোনো মন্তব্য করছে না বলে জানিয়েছেন এফবিআইয়ের একজন মুখপাত্র।
২০১৬ সালের এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ওই এনক্রিপ্টেড আইফোন আনলক করতে কমপক্ষে ১৩ লাখ ডলার ব্যয় করেছে এফবিআই।
সে সময় এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, এফবিআই পরিচালক জেমস কমে-এর এক বিবৃতির উপর ভিত্তি করে স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ডের আইফোন আনলকের পেছনে খরচ হওয়া অর্থের এই হিসাব করা হয়েছে।
এফবিআই কখনোই ফোন আনলকে সহায়তাকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বা হ্যাকার দলের নাম প্রকাশ করেনি। তবে, এই সহায়তার পেছনে যারা রয়েছেন তারা অবশ্যই এমন কোনো সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার সরবরাহ করেছেন, যা চার ডিজিটের একটি আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার দিয়ে রাখা নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙ্গে ফেলতে সক্ষম। এটি এমন একটি নিরাপত্তা ফিচার, যাতে ১০ বার ভুল অনুমান করা হলে সব তথ্য মুছে যাবে।
 
Top